সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেন্ডিং বা আলোচনায়- নারী কিসে আটকায়। এই ট্রেন্ডি প্রশ্নের জবাবে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান বললেন, ‘নারী আসলে আটকায় জায়েদ খানে। আর সুন্দরী নারীতে আটকায় জায়েদ খান।’
টেলিভিশন সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের করা প্রশ্নে এবার আটকে গেলেন আইনি গ্যাঁড়াকলে।
তার এই বক্তব্য নারীর সম্মান ক্ষুণ্ণ এবং নারীকে হেয়প্রতিপন্ন করেছে-এমন অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে জায়েদ খানকে। রবিবার দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এটি পাঠিয়েছেন অ্যাডভোকেট মুনিমা মান্নান। কালের কণ্ঠের কাছে এই নোটিশের কপি সংরক্ষিত রয়েছে।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, ‘নারী আসলে আটকায় জায়েদ খানে। আর সুন্দরী নারীতে আটকায় জায়েদ খান।’ প্রচারমাধ্যমে এমন বক্তব্য দেন জায়েদ খান। ইতোমধ্যে এই বক্তব্য বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আপনার মতো বাংলা চলচ্চিত্রের একজন নায়কের এমন অশালীন, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আমাদের নারীদের সম্মান ক্ষুণ্ণ ও হেয়প্রতিপন্ন করে।
আরো বলা হয়, ‘বক্তব্যটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করার অনুরোধ থাকল। এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য থেকে বিরত না থাকলে ভবিষ্যতে আপনার বিরুদ্ধে (জায়েদ খান) প্রচলিত আইনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নারীরা কিসে আটকায়—এই প্রশ্নের জবাবে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জায়েদ খান বলেন, ‘এখন নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, নারীরা জায়েদ খানে আটকায়। আর জায়েদ খান আটকায় সুন্দরী নারীতে।’
তিনি জানান, নারীরা তাকে নিয়ে কখনো বাজে মন্তব্য করেন না। করে শুধু ছেলেরা। কারণ, ছেলেরা তাকে নিয়ে ঈর্ষা করে। এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন অভিনেতা।
তার কথায়, ‘একজন ছেলে আমার ছবিতে বাজে মন্তব্য করেছিল। কিন্তু এর পরেই তার স্ত্রী আমাকে মেসেজ দিয়ে বলেছেন, আপনি আমার হাজবেন্ডের কথায় কিছু মনে করবেন না। উনি আপনাকে নিয়ে জেলাস করেছে।’