ভ্রমণ ডেস্ক:
ভ্রমণপিপাসু মানুষ এবং পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি চট্টগ্রামের মিরসরাই। এখানে অন্যান্য পর্যটন স্পট ছাড়াও রয়েছে সাতটি পাহাড়ি ঝরনা। প্রতিদিন এসব ঝরনাগুলোতে ভীড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ।
দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে সহজে ছুটে আসছেন এখানে।
কেউ কেউ লোকাল বাসে, কার, মাইক্রো, হাইচ, নোহা, লেগুনা ও অনেকে রিজার্ভ বাসে করে উপস্থিত হচ্ছেন এক নজর দেখতে। তবে বন্ধের দিন সবকটি ঝরনায় পর্যটকদের ঢল নামে। দল বেঁধে ছুটে আসে লোকজন। এ যেন এক অন্যরকম মিলন মেলা।
প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দেশের ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ। প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি সেতুবন্ধন করে, সবুজের চাদরে ঢাকা বনানী রূপের আগুন ঝরায়, যেখানে প্রকৃতি খেলা করে আপন মনে, ঝুম ঝুম শব্দে বয়ে চলা ঝরনাধারায় গা ভিজিয়ে মানুষ যান্ত্রিক জীবনের অবসাদ থেকে নিজেকে ধুয়ে সজীব করে তুলছে খৈয়াছরা ঝরনায়।
গ্রামের সবুজ শ্যামল আঁকা বাঁকা মেঠো পথ পেরিয়ে শরীরটা একটু হলেও ভিজিয়ে নেয়া যায় নিঃসন্দেহে। আট স্তরের ঝরনা দেখতে দেশি বিদেশি পর্যটকের ভিড় পড়েছে। দেশের অন্যতম বড় প্রাকৃতিক ঝরনাটি দেখতে প্রতিদিন ছুটে যাচ্ছে হাজার হাজার দেশি বিদেশি পর্যটক।
যেভাবে যাবেন
দেশের বিভিন্ন স্থান হতে যে কোন বাস যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়দারোগাহাট বাজারে নামবেন। উপজেলার খৈয়াছরা ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪.২ কিলোমিটার পূর্বে ঝরনার অবস্থান। এরমধ্যে ১ কিলোমিটার পথ গাড়িতে বাকি পথ হেঁটে যেতে হবে।
থাকা ও খাওয়া
মিরসরাই পৌর সদর, বড়দারোগাহাট, ও ছোট কমলদহ বাজারে খাওয়ার হোটেল রয়েছে। দুর-দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা থাকা ও খাওয়ার জন্য যেতে পারেন মিরসরাইয়ের বিভিন্ন পর্যটন স্পট থেকে গাড়ি যোগে মাত্র ৪০-৫০ মিনিটের পথ চট্টগ্রাম শহরের প্রবেশ মুখে একেখান ও অলংকারে কুটুম্ববাড়ি রেস্তোরায়। থাকার জন্য একেখানে মায়ানী রিসোর্ট ও অলংকারে রোজ ভিও হোটেলে। ঈদেও ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে রেষ্টুরেন্ট ও আবাসিক এই হোটেল দুটি।