নভেম্বরে জেদ্দা সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১২ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

সৌদি আরবের জেদ্দায় আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বরের আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেদ্দা সফরে যেতে পারেন। মুসলিম দেশগুলোর জোট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং সৌদি সরকার এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করে আসন্ন সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্র পৌছে দেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সম্মতি প্রকাশ করেন।

গত মার্চে মৌরিতানিয়ায় অনুষ্ঠিত ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন করার সিদ্ধান্তকে সৌদি আরব স্বাগত জানিয়ে সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ হয়েছে। এই সম্মেলনে ইসলাম ধর্মে নারীর অধিকার বিষয়ে যা বলা আছে সে বিষয়ে প্রাধাণ্য দেওয়া হবে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে নারীর শিক্ষা এবং কাজ সম্পর্কে যা বলা আছে আসন্ন সম্মেলনে তা উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইয়েনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ অক্টোবর ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেল সফরে যাবেন। সেখানে আগামী ২৫ ও ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ইইউ’র গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের বৈঠকে অংশ নিবেন। সফর শেষে আগামী ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ রোববার (২২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেলজিয়াম সফর নিয়ে ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, জানান গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের বৈঠকে যোগ দিতে তিনদিনের সফরে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বেলজিয়াম যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ওই সফরে এ সংক্রান্ত একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

তিনি বলেন, আগামী ২৫-২৬ অক্টোবর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের অগ্রগতি ও সার্বিক বিষয়াদি আলোচনার নিমিত্ত প্রথমবারের মতো বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম আয়োজন করতে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন-এর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী এ ইভেন্টে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৪ অক্টোবর সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ব্রাসেলসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং সন্ধ্যায় ব্রাসেলস পৌঁছাবেন। ২৬ অক্টোবর রাতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্রাসেলস ত্যাগ করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ ডিজিটাল প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবহনখাতে অবকাঠামো নির্মাণ এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গবেষণা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের নিমিত্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের ঘোষণা দেয়। এ উদ্যোগের আওতায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সদস্য রাষ্ট্রগুলো ও অন্যান্য অংশীদাররা অগ্রাধিকার খাতগুলোতে ২০২১-২০২৭ সালের মধ্যে সর্বমোট ৩০০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, এ সফরে আগামী ২৫ অক্টোবর সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে ইউরোপিয়ান কমিশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপিয়ান ট্রেড কমিশনার ভালডিস ডমব্রভকিস এবং এরপর ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট মিস উপসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের ৫০ বছরের অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ঘোষণা দেবে বলে আশা করা যায়।

মন্ত্রী আরও বলেন, এ বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও ইআইবির মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি সই হবে। এছাড়া বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অনুদান হিসেবে দেওয়ার নিমিত্ত ইউরোপিয়ান কমিশন এবং ইআইবির মধ্যে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি চুক্তি এবং বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের মধ্যে ১২ মিলিয়ন ইউরোর একটি অনুদান চুক্তি সই হবে।