ধানমন্ডিতে বিউটি পার্লারে গোপন ক্যামেরা, পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও জব্দ

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বিউটি পার্লারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে পার্লারে আগত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীদের পোশাক পরিবর্তন অপত্তিজনক দৃশ্য ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ধানমন্ডির ওমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের বিউটি পার্লার থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ-সংরক্ষণের অভিযোগে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন এমদাদুল হাসান (৫৩), তসলিম আরিফ ইলিয়াস (৫২) ও এইচ এম জুয়েল খন্দকার (৩৩)। তবে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে ওই বিউটি পার্লারের মালিক তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম (৫৭) ও ফারনাস আলম (৩২) পালিয়ে যান।

ধানমন্ডি থানার ওসি পারভেজ ইসলাম ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের বিউটি পারলারের একজন গ্রাহক ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের সূত্র ধরে ওই বিউটি পারলার থেকে সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করা হয়।

জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের ৮০ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় ওমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার এসআই একরামুল হক বাদী হয়ে ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের দুই মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করে। মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে, বুধবার গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালতে পুলিশের উপস্থাপন করা আবেদনে বলা হয়, ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের ৮০ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় ওমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিউটি পার্লারে অত্যন্ত সুকৌশলে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পার্লারে আগত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীদের পোশাক পরিবর্তন, মেসেজ রুমে গোপন ও স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ ও সংরক্ষণ করে রাখতো। পার্লারে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও কালো রঙের দুটি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এসব কথা স্বীকার করেছেন বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।