জনপ্রিয় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। এজন্য ধর্ষণ মামলায় তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশ।
তদন্ত শেষে মামলার ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্তের বিষয়ে পুলিশ বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রিন্স মামুন ও লায়লার পরিচয় হয়। ২০২২ সালের প্রথম দিকে একসঙ্গে চলাফেরা, পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
উভয়ে একসঙ্গে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করে। তাদের মধ্যে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। যা তদন্তে আসামি মামুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা আক্তার ফারহাদ নামে এক নারী। এ মামলায় মামুনকে গ্রেফতারের পর ১১ জুন আদালতে হাজির করা হয়। তবে শুনানি শেষে আদালত জামিন ও রিমান্ড উভয় নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ১ জুলাই তিনি জামিনে কারামুক্ত হন। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, ‘মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই।’
‘সবশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।’