দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: শরীয়তপুর ২

::
প্রকাশ: ২ years ago

মো. বাচ্চু বেপারি: আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা ইতোমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন। বিশেষ করে সরকারি দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বিরোধী দল বিএনপি ও অন্য দু-একটি রাজনৈতিক দলের এখনো এ নির্বাচন ঘিরে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা না গেলেও প্রতিটি আসনেই দলগুলোর প্রার্থীর ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। থেমে নেই মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে শরীয়তপুর ২ আসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

১৯৭৯ সাল থেকে টানা ৪০ বছরে সাত বার আ. লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছিলেন কর্নেল (অব.) শওকত আলী। অন্যদিকে এই আসনে প্রথমবারের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিকল্পধারা বাংলাদেশের একজন প্রার্থীর নাম ও শোনা যাচ্ছে।

মানচিত্রে দুই জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এ আসনটি নড়িয়া উপজেলা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত। এ আসনে নড়িয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা এবং সখিপুর থানার ৯টি ইউনিয়ন। যার মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৮ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৯১ জন । তবে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে মোট ভোটারের সংখ্যা আরো সাড়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

জানা যায়, ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ. লীগের নুরুল হক হাওলাদার এ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরই নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। স্বাধীন বাংলাদেশে আততায়ীর হাতে নিহত প্রথম এমপি তিনি।

এরপর একই বছর উপ নির্বাচনে এই আসনে আ. লীগের প্রাক্তন এম এন এ ডা. আবুল কাশেম নির্বাচিত হন। ‘৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে আ. লীগের কর্নেল (অব.) শওকত আলী, ‘৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির টি এম গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ‘৮৮ সালে ৪র্থ নির্বাচনে জাপার টি এম গিয়াস, ‘৯১ সালে ৫ম সংসদ নির্বাচনে আ. লীগের কর্নেল (অব.) শওকত আলী, ‘৯৬ সালে ১৫ ফেব্রম্নয়ারি অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ডা. কে এ জলিল, ‘৯৬ সালের ১২ জুন ৭ম সংসদ নির্বাচনে আ. লীগের কর্নেল (অব.) শওকত আলী, ২০০১ সালে ৮ম সংসদ নির্বাচনে আ. লীগের কর্নেল (অব.) শওকত আলী, ২০০৮ সালে ৯ম নির্বাচনে কর্নেল (অব.) শওকত আলী এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আ. লীগ থেকে কর্নেল (অব.) শওকত আলী নির্বাচিত হন। এ আসনটিতে আ. লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দীর্ঘকালের।

গত দুই দশকে দলের অভ্যন্ত্মরে হানাহানি, সংঘাত, রক্তপাতে নিহত হয়েছেন একাধিক দলীয় কর্মী। বিএনপির অভ্যন্ত্মরীণ দ্বন্দ্ব থাকলেও তা সহিংসতায় রূপ নেয়নি কখনো।

এবার এ আসনে আ. লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন কয়েকজন। তারা হচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার এবং সাবেক সাংসদ কর্নেল (অব.) শওকত আলীর ছেলে ডা. খালেদ শওকত আলী।

অপরদিকে এই আসনে প্রথমবারের মতো বিকল্পধারা বাংলাদেশের একমাত্র প্রার্থী যার এক বক্তব্যে বাংলাদেশের সমগ্র মানুষের কাছে সুপরিচিতি এনে দিয়েছে আমার টাকা আপনি কেন কেটে নিবেন? সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় মুখ বিকল্পধারা বাংলাদেশের সহ দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসরাম বুলুর নাম লোক মুখে জনশ্রুতি রয়েছে।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জামাল শরীফ হিরু,কর্নেল (অব.) এস এম ফয়সাল।

এ আসনটি বরাবরই আ. লীগের আসন হিসেবে পরিচিত। আ. লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দাবি করেন নৌকা প্রতীক যে পাবেন তিনিই নির্বাচিত হবেন। অপরদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনে করেন আ. লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগে তারা এ আসনটি দখল করে নিতে পারবেন। আ. লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ কে এম এনামুল হক শামীম স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ‘৮৬ সালে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, ‘৮৯ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে জাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন।

সুলতান মাহমুদ সিমন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর হিসেবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন। নড়িয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও নড়িয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ছিলেন। পাকিস্তান আমল থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি এক বীর সেনানী। নড়িয়া উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা আ. লীগের প্রচার সম্পাদক, জেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান ও মাস্টার্সসহ উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। একজন স্বনামধন্য আইজীবী হিসেবে তার যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে।

২০০১ সালে তিনি এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রায় ৩১ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। তিনি আগামী নির্বাচনে শরীয়তপুর-২ আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।

অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এরপর মহিলা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্বশীল পদে ছিলেন। ১/১১-এর সময় তিনি শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। তিনি আ. লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদিকা থাকাবস্থায় ২০০৮ সালে নড়িয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাকে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য মনোনীত করা হয়। সাংসদ মনোনীত হওয়ার পর তিনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করেন। বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত্মদের মাঝে সহায়তা প্রদান করেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি শরীয়তপুর-২ আসন থেকে আ. লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।

ডাক্তার খালেদ শওকত আলী সাবেক সাংসদ কর্নেল শওকত আলীর কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি দেশের বাইরে থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত খালেদ মধ্যপ্রাচ্যে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এরপর দেশে এসে তিনি তার বাবা শওকত আলী সংসদের ডেপুটি স্পিকার থাকাবস্থায় তার হাত ধরে এলাকার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। কর্নেল (অব.) শওকত আলীর সাথে খালেদ শওকত নির্বাচনী এলাকার সব সভা-সমাবেশে সম্পৃক্ত হন। এলাকার উন্নয়নে তার পিতাকে সবসময় দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছেন। খালেদ ‘৭১ ফাউন্ডেশন নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি নড়িয়া উন্নয়ন সমিতি, নড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও মাজেদা হাসপাতালের কর্ণধার।

খালেদ শওকত আলীর প্রত্যাশা স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শওকত আলীর অবদান এবং নির্বাচনী এলাকায় দীর্ঘ ৪ দশক আ. লীগকে শক্তিশালী করার ভূমিকার কথা বিবেচনা করে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে।

অপরদিকে বিকল্পধারা থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আমিনুল ইসলাম বুলু বিকল্প ছাত্রধারার কেন্দ্রীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন । বর্তমানে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে ও জড়িত রয়েছেন। আমিনুল ইসলাম বুলু ‘ বাংলাদেশের সর্ববৃহত্তর সংগঠন “বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের” প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি । তার পৈতৃক নিবাস নওপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুরে।

অন্যদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুর রহমান কিরণ বর্তমান শরীয়তপুর জেলা কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি স্কুলজীবনে রোভার স্কাউটের গ্রুপের লিডার হওয়ার সুবাদে ‘৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সান্নিধ্য লাভ করেন। সেই থেকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ভালোবেসে তার দলের প্রতি আকৃষ্ট হন। তার জন্ম পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর জেলায়। পিতা হাবিবুল্লাহ চোকদার পাকিস্তানের গোড়ার দিকে চাঁদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাদের পুরনো পৈতৃক নিবাস ভেদরগঞ্জের তারাবুনিয়ায়। তিনি একজন সফল মানবসম্পদ রপ্তানিকারক। ১৯৯১ সালে তিনি শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে শরীয়তপুরে বিএনপি রাজনীতিতে আবির্ভূত হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচনে কিরণ শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন।

এরপর ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনে এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে একই আসন থেকে আ. লীগের জাতীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাকের সাথে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে তিনি শরীয়তপুর-২ থেকে সর্বশেষ বিএনপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৮০ হাজারেরও অধিক ভোট পেয়েছিলেন। শফিকুর রহমান কিরণ ১৯ বছর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি একবার জেলার সদস্য সচিব ও একবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিরণ তার নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদান রেখেছেন। চলাঞ্চলে তিনিই প্রথম তার নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

অ্যাডভোকেট জামাল শরীফ হিরু বিএনপির একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অবিভক্ত ঢাকা মহানগরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরপর দুই মেয়াদে তিনি সামসুজ্জামান দুদুর সাথে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য, ২০১১ সালে জামাল শরীফ হিরম্ন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও ২০১২ সালে জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি একজন নির্লোভ, নির্মোহ ও ত্যাগী নেতা হিসেবে বিএনপিতে সমধিক পরিচিত। নীতির প্রশ্নে একজন আপসহীন নেতা জামাল শরীফ হিরু ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৬ সালে বিএনপির আমলে এলাকায় অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন ।

কর্নেল (অব.) এস এম ফয়সাল দীর্ঘদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।

২০০৯ সালে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং ঢাকায় ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৪ সালে তাকে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়। কর্নেল ফয়সাল শরীয়তপুরের চরাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তার বড় ভাই সৈয়দ আমির খসরু বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন। ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ সামরিক শাসন জারি করার পর অনেক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা যখন জনদল/জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন তখন আমির খসরু শরীয়তপুরে বিএনপি পুনর্গঠনে কাজ করেন। মূলধারার বিএনপিকে তিনি সংগঠিত করে রাখেন। তার চেষ্টায় এ অঞ্চলে বিএনপি পুনর্গঠিত হয়। নির্মোহ ও ত্যাগী নেতা আমির খসরুর ছোট ভাই এবং প্রকৃত বিএনপি ভাবধারার লোক হিসেবে তিনি আসন্ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে লোক মুখে শুনা যাচ্ছে।