কোটাবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর রাস্তা অচল। তবে দুর্ভোগ হলেও কোটার যৌক্তিক সমাধান চান ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। রাজধানীতে অচল রাস্তায় দুর্ভোগে পড়া মানুষগুলো জানালেন এমনটাই।
বুধবার সকাল থেকেই চলছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি।
কাজের জন্য বাইরে বেরিয়ে সাধারণ মানুষ পড়েছে দুর্ভোগে। তবে তারা বলছেন, এ আন্দোলন শুধু ছাত্রদের নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা কোটা থাকবে না।
তাদের মতে, কোটা পদ্ধতি কোনো গোষ্ঠীর নয়, এটা সবার পক্ষের আন্দোলন। তাদের সন্তানরাও লেখা পড়া করছে। কোটা থাকার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই বৈষম্যর শিকার হচ্ছে সন্তানরা।
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকা ব্লক করেছে আন্দোলনকারীরা। হেঁটে যেতে হচ্ছে পুরোটা পথ। কষ্ট সহ্য করতে রাজি তবুও কোটা বিরোধী আন্দোলনের সফলতা কামনা করছেন তারা।
পথচারীরা বলছেন, দেশে আন্দোলন ছাড়া হুট করে কিছু সমাধান হয় না, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। তারা রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে এতে জীবনযাত্রায় সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, তবে কোটা নিয়ে যৌক্তিক সমাধান চান তারা।
বাংলা ব্লকেডের অংশ হিসেবে সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, ফার্মগেট, চানখারপুল মোড়, চানখারপুল ফ্লাইওভার এ ওঠার মোড়, বঙ্গবাজার, শিক্ষা চত্বর, মৎস্য ভবন, জিপিও, গুলিস্তান, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, রামপুরা ব্রিজ, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, মহাখালী, বাংলামোটর, আগারগাঁও এলাকা অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত।