সাড়ে তিন বছর প্রেমের পর ২০১৪ সালের ১ আগস্ট সুজানার সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন গায়ক ও সংগীত পরিচালক হৃদয় খান। এটি ছিল দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের সাত মাস পরপরই সুজানা-হৃদয় খানের বিচ্ছেদ হয়।
এরপর হৃদয়ের আবার বিয়ের খবর শোনা গেলেও শোনা যায়নি সুজানার বিয়ের খবর। অবশেষে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে সেই বিয়ের খবর জানান।
বরের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না জানালেও শুধু এটুকু জানা গেল, সুজানার বরের নাম সৈয়দ হক। কবে, কখন, কোথায় বিয়ে করেছেন, সে ব্যাপারেও কিছুই বলেননি একসময়ের মডেল ও অভিনয়শিল্পী।
দেশের একসময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় থেকে দূরে আছেন। অভিনয়ে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সুজানার বেশির ভাগ সময় কাটে দুবাইয়ে। সেখানে তিনি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত আছেন।
চুপিসারে বিয়ের খবরটি জানিয়েছেন, ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, কেকের ওপর লেখা, ‘হ্যাপি ম্যারিড লাইফ, সুজানা অ্যান্ড জায়াদ’। ভিডিওতে একঝলক সুজানার স্বামীকেও দেখা যায়। বিয়ের খবরে ভিডিওর মন্তব্যর ঘরে অনেকেই সুজানাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাল্টা মন্তব্যে তার উত্তরও দিয়েছেন অভিনেত্রী। সুজানার স্বামীর পরিচয় জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মূলত নিজের ফ্যাশন হাউস ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সুজানা। দুবাই থেকেই তার সুজানা’স ক্লোজেটের জন্য পণ্যসামগ্রী নিয়ে আসেন দেশে। তবে নিজেও ডিজাইন করেন অনেক পোশাক। যদিও এখনই নিজেকে পুরাদস্তুর ফ্যাশন ডিজাইনার বলতে নারাজ সুজানা। নিছক নিজের ভালো লাগা থেকেই ডিজাইন করেন তিনি।
২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। এরপর সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক হৃদয় খানের ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে ২০১৪ সালের আগস্টে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে করেন।