ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে গেলেও অধিনায়কত্বে আর ফেরা হবে না তামিম ইকবালের। বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের কথা বিবেচনা করে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম।
বৃহস্পতিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকে নিজের সিদ্ধান্ত জানান তামিম। কেন অধিনায়ক পদ ছাড়তে চাইছেন তিনি সেসব কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। বোর্ড সভাপতি তাকে অধিনায়ক থাকার কথা বলেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ইনজুরিতে ভোগা তামিম, দুজনকে বোঝাতে সক্ষম হন বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করা ঠিক হবে না।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেছেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, আজ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক ছিল জালাল ইউনুস এবং প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসানের সঙ্গে। আমরা অনেক কিছু আলোচনা করেছি। আমার সমস্যা, কী সমস্যা ছিল, কী হবে সামনে সবকিছু নিয়ে।’
‘আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেটা নিজ থেকেই ঠিক করেছি এবং কারণও দেখিয়েছি, আজ থেকে আমি বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
নেতৃত্ব ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যায় তামিম বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ইনজুরি একটা ইসু্য। আমি ইনজেকশন দিয়ে এসেছি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় ইনজেকশন গুলো হিট অ্যান্ড মিসের মতো। আমার সমস্যাগুলো উনাদের বলেছি।’
‘যে কোনো সিদ্ধান্তের ঊর্ধ্বে আমি সব সময় দলের কথা চিন্তা করি। দলের কথা চিন্তা করে এখন আমার সরে যাওয়াটাই সেরা সিদ্ধান্ত।’
‘মূল বিষয় হচ্ছে, দলের ভালোর জন্য অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়াটা বেটার। শুধু খেলোয়াড় হিসেবে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যখন সুযোগ আসবে তখন যেন সেরাটা দিতে পারি সেই চেষ্টা করে যাব।’ – যোগ করেন তামিম।
সন্ধ্যা ৭টা ৪৩ মিনিটে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় যান তামিম। এর আগে সেখানে হাজির হন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তখন বাসায় ছিলেন না নাজমুল হাসান। প্রায় ত্রিশ মিনিট পর তিনি বাসায় প্রবেশ করেন।
নিজের সিদ্ধান্ত তামিম জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আচমকা অবসর নেওয়ার ২৮ ঘণ্টার ভেতরে তামিম সিদ্ধান্ত বদল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। সেজন্য অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে কারণ ব্যাখ্যা করেন তামিম।
‘আমরা এর মধ্যে আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছি। উনাকেও আমার মেসেজটা দিয়েছি। উনিও সব বুঝে আমাকে যা বলার খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন।’