প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে তার ফেসবুক পেজে একজনের পোস্ট শেয়ার করেন। যার পোস্ট শেয়ার করেছেন তার নাম, নাবিলা ইদ্রিস।
নাবিলা ইদ্রিস তার পোস্টে জানিয়েছেন , একটা ছেলে মেধাবী হওয়ায় রাজনৈতিক আক্রোশবশত তাকে কি পরিমাণ সাজা দিয়েছিল বিগত হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার সেসব কথা । নিচে সেই পোস্ট হবহু দেওয়া হলো :
“ কোন জিনিসটা হারানোর বেদনা কোন জনকে কতটুক পীড়া দেয়, এটা বোঝা কঠিন। এক ভুক্তভোগী — সাধারণ ঘরের ছেলে যার ওপর নিদারুণ টর্চার করা হয়েছিল — একদিন আক্ষেপ করে আমাকে বলেছিল, “তুলে নেয়ার সময় আমি মাস্টার্স করছিলাম। গুমের আগে পরীক্ষায় আমি ৯৯, ৯৭, এরকম মার্কস পেতাম। ওরা আমাকে বলে, ‘শুনেছি তুই নাকি অনেক মেধাবী? দেই তোর মেধা একটু কমিয়ে।’ এই বলে মাথায় অনেক ইলেকট্রিক শক দেয়। দিতেই থাকে আর দিতেই থাকে। গুম থেকে বের হবার পর দেখি আমি আর পড়াশোনায় ভাল নেই। আমি এমনকি কিছু পরীক্ষায় ফেল ও করেছি। সাত বছর হয়ে গেল, আমি আর পড়াশোনা করে দাঁড়াতে পারলাম না।”
আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক পড়ুয়া মানুষ — নার্ড বলাটা ভুল হবে না। হয়ত সে কারণেই শত জবানবন্দির ভেতর এই জবান্দন্দিটা খালি কানে বাজে। গুম কালচার যদি আমরা এবার বিলুপ্ত করতে না পারি, কখনও পারব না। যা করার করতে হবে। যতটা রিস্ক নেয়ার দরকার, যতটা সেক্রিফাইস করার দরকার — করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে গুম বিলুপ্ত করতেইই হবে ’’
সম্প্রতি গুম কমিশনের দেওয়া রিপোর্টে এরকম নৃশংস ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে
আসছে।