সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি বৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে। এর মধ্যে অনেকে দীর্ঘ সময় সেখানে কর্মরত। তাদের দাবি ছিল, পরিবারকে যেন সৌদি সরকার তাদের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেয়। অবশেষে সেই সুখবর পেল তারা। আপাতত তিন মাস পরিবারকে তাদের সঙ্গে রাখার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সচিবালয়ে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ’র নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এ কথা বলেন।
তিনি জানান, সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা তিন মাসের জন্য পরিবারের সদস্যদের সৌদি আরবে নিয়ে যেতে পারবেন। সৌদি আরবে কর্মরত আমাদের যারা রয়েছেন, তারা এখন থেকে সর্বোচ্চ তিন মাসের জন্য তাদের পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যকে সেদেশে নিয়ে যেতে পারবেন। পরিবারের মানুষজন সৌদি আরবে গিয়ে অবস্থান এবং ঘোরাঘুরি করতে পারবেন।
মন্ত্রী জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) হজ ব্যবস্থাপনা আরও সহজ ও গতিশীল করতে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ‘নসুক’ নামে একটি অ্যাপ ঢাকায় উদ্বোধন করবেন তৌফিক আল-রাবিয়াহ। অ্যাপটি ইউরোপ-আমেরিকায় আগেই চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এজেন্সিকেন্দ্রিক হজ ব্যবস্থাপনা থেকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনার যুগে ঢুকবে বাংলাদেশ। ধীরে ধীরে কমে আসবে এজেন্সি-নির্ভরতা।
সৌদি আরবের পর্যটন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ তাদের পঞ্চম বৃহত্তম বাজার। তাই বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে দেশটি।
এবারই প্রথম সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ, গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন সৌদি সরকারের হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে ৬১ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তারা ধর্ম, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।