বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সশস্ত্র হামলা ও গুলি করে আহত করার অভিযোগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র তাহসীন বাহারসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপির এক নেতা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি নন্দনপুর এলাকায় আন্দোলন চলাকালে হামলার অভিযোগে ওই মামলা করা হয়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের মামলাটির বাদী হয়েছেন আবু সাঈদ নামে বিএনপির এক নেতা। তিনি কুমিল্লা নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিবের পদে রয়েছেন।
মামলায় আবু সাঈদ নিজেকে হামলাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেন।
সোমবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায়, তাহসীন বাহারকে প্রধান আসামি করে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
তাহসীন বাহার কুমিল্লা-৬ (কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিনের মেয়ে।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলামস, সিটি করপোরেশনের ৫ কাউন্সিলরসহ ১০৫ জন। বাকি আসামিরা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত চার আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা কোটবাড়ি এলাকার নন্দনপুরে।
ছাত্র-জনতার ওই বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়ে তাহসীন বাহারের নির্দেশে গুলিবর্ষণ করে মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। ওই হামলায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া বেশ সংখ্যক আন্দোলনকারী আহত হন। মামলার বাদী নিজেও হাত-পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
মামলার বাদী বিএনপি নেতা আবু সাঈদ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সেদিন আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়া হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
আমি মামলাটির সঠিক তদন্ত এবং আর আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়েছে। সরকার পতনের পর অভিযুক্ত সকলেই গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।