তামাক নিয়ন্ত্রণে রেল মন্ত্রণালয়ের সম্মাননা পেলেন ড. অরূপরতন চৌধুরী

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট
প্রকাশ: ২ years ago

তামাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেছেন মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ্যে “ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে সম্মাননা পদক ২০২২ প্রদান” অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের কাছ থেকে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন তিনি। রেলওয়ে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগে প্রসংশনীয় অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে রেলের আরো ৭ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান। এছাড়াও সম্মানিত আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল’র সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস-বাংলাদেশ এর হেড অব প্রোগ্রামস্ মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, যাত্রী সাধারণের সুরক্ষায় বাংলাদেশ রেলওয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আগামীতে তামাক নিয়ন্ত্রণে ‘মডেল মন্ত্রণালয়’ হবে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এজন্য রেল সেবায় ধূমপান ও তামাক পরিহারের বিষয়টি জোরদার করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের অধীনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে সেটা আরো বিস্তৃত করতে হবে। প্রত্যেকটি ট্রেন, ষ্টেশনে ধূমপান ও তামাক, মাদক বিরোধী কার্যক্রম জোরদার করার তাগিদ দিয়ে তিনি আরো বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণা বাস্তবায়নে পরিবহন সেক্টরের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসহ সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বিভাগের একযোগে কাজ করা উচিৎ।

সভাপতির বক্তব্যে রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, পাবলিক পরিবহনগুলোতে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধুমাত্র বাংলাদেশ রেলওয়েতে বছরে ৯ কোটি মানুষ যাতায়াত করে। এই বিপুল পরিমাণ যাত্রীসাধারণের সুরক্ষায় রেল সেবায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন অপরিহার্য। এবছর যারা উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন তাদের কর্মস্পৃহা আরো বাড়বে বলে আশাবাদী। আগামীতে পুরস্কার ও পুরস্কৃতদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে জানান তিনি।

ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ নিরলসভাবে ধূমপান ও মাদক বিরোধী কাজ করে চলেছি। বাংলাদেশ রেলওয়ে যে সম্মাননা দিয়েছে, আমি আন্তরিকভাবে সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানাই। এই সম্মাননা আমার কাজের দায়বদ্ধাতা আরো বৃদ্ধি করবে।