‘তর্কাতর্কির একপর্যায়ে গুলি করা হয় সোহেল চৌধুরীকে’

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১ বছর আগে
সোহেল চৌধুরী (ফাইল ফটো)

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় তার বন্ধু কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চোধুরী ও ব্যবসায়ী আহমেদ সাঈদ এবং ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মো. বেলায়েত হোসেন খান আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ তারা সাক্ষ্য দেন। আগামী ২৬ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন বিচারক এম আলী আহমেদ। মামলাটিতে নয়জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

এদিন জবানবন্দিতে সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে কোনো এক সময়ে বনানীর আবেদীন টাওয়ারের ট্রামস ক্লাবে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করা হয়। ক্লাবে ঢোকা নিয়ে সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় সিকিউরিটি গার্ড বা ম্যানেজমেন্টের লোকদের। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার দিকে আমার স্ত্রী জানায়, সোহেল চৌধুরী মারা গেছে। তার কাছ থেকে প্রথম ঘটনা শুনি। সোহেল চৌধুরীর বাসায় যাই লাশ দেখতে। পরদিন আদনান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য কোনো আসামির নাম জানতে পারিনি।

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামিরা হলেন—ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল৷ ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।