দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী তফসিলের আগে বাংলাদেশের শীর্ষ তিন রাজনৈতিক দলকে (আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি) সংলাপের বসার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো ধরনের সংলাপের আয়োজন ছাড়াই ঘোষিত হয় তফসিল। তাই তফসিল ঘোষণা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া খুবই কাঙ্ক্ষিত ছিল।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার আগের বার্তাই তুলে ধরেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি একজন সাংবাদিক বাংলাদেশে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও বিরোধী কয়েকটি দলের তা প্রত্যাখান করার তথ্য তুলে ধরেন। ওই সাংবাদিক এ বিষযে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চান।
জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা যে বার্তা দিয়েছি তা এখনো একই আছে। শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন—বাংলাদেশের জনগণ যা চায় তাই আমরা চাই।’
ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করিনা। একটি দলের বিরূদ্ধে আরেকটি দলের অবস্থানকে সমর্থন করি না।’
মিলার বলেন, ‘আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল সংঘাত এড়িয়ে চলুক ও সংযম পালন করুক এবং শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য একসঙ্গে কাজ করুক।’
রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি এবং রাষ্ট্রদূতের নিজের ও দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘বিদেশে দূতাবাসগুলোতে আমাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। কূটনীতিকদের প্রতি হুমকিকে আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেই।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘কূটনীতিকদের প্রতি সহিংসতা ও সহিংসতার হুমকি অগ্রহণযোগ্য। রাষ্ট্রদূত হাসকে হুমকির বিষয়টি আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে বারবার তুলে ধরেছি।’
ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী আমাদের কূটনৈতিক মিশন ও কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এই বাধ্যবাধকতা পূরণে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’