ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও বণিক বার্তার যৌথ আয়োজনে ৬ষ্ঠ বারের মতো তিন দিনব্যাপী নন-ফিকশন বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৬ ডিসেম্বর (সোমবার)।
এদিন সকাল ১০টায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শনিবার (২৪ডিসেম্বর) অনুষদের ড. আবদুল্লাহ ফারুক সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, নন-ফিকশন বইমেলা ২০২২-এর আহ্বায়ক ও বণিক বার্তার সহযোগী সম্পাদক এমএম মুসা, বণিক বার্তার বার্তা সম্পাদক হোসেন শহীদ মজনু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বণিক বার্তার প্রধান প্রতিবেদক বদরুল আলম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নন-ফিকশন বইমেলা আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য হলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যবসা, অর্থনীতিসহ নন-ফিকশন বইয়ের পরিচিতি বৃদ্ধি এবং এ ধরনের বইপড়ায় আগ্রহী করে তোলা। নন-ফিকশন বইমেলা এরই মধ্যে শিক্ষার্থী ও পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। পাশাপাশি পুস্তক বিপণনের ক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে।
ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন বলেন, ঢাবির ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ ও বণিক বার্তার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই নন ফিকশন বইমেলা করোনা মহামারির কারণে গত কয়েক বছর বন্ধ ছিল। বণিক বার্তাকে ধন্যবাদ যে তারা আবারও এটি আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ফিকশন নিয়ে আমরা মোটামুটি সবাই আগ্রহী, ফিকশন পড়তে ভালো লাগে, ফিকশনে রস থাকে। কিন্তু নন-ফিকশন বই রসকস হীন হওয়ায় সেগুলো জনপ্রিয় করা ও মানুষের কাছে উপস্থাপন করা কঠিন কাজ। সেই দায়িত্বটা বণিক বার্তা পালন করছে এজন্য আমি আবারো তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বইমেলার সার্বিক সফলতা কামনা করেন তিনি।
বণিক বার্তার সহযোগী সম্পাদক এমএম মুসা বলেন, আমরা ছোট পরিসরে নন-ফিকশন বইমেলা শুরু করেছিলাম। প্রথমবার প্রকাশকরা আগ্রহী না হলেও বর্তমানে এত আগ্রহ আমাদের বাছাই করে সুযোগ দিতে হচ্ছে। আমাদের ইচ্ছা আছে এটিকে আরো বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ২৬-২৮ ডিসেম্বর ২০২২ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে নন-ফিকশন বইমেলা প্রাঙ্গণ।
এ বছর সর্বমোট ৩৯ প্রকাশনা ও গবেষণা সংস্থা মেলায় অংশ নিচ্ছে। এগুলো- আদর্শ, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, অনিন্দ্য প্রকাশ, আলোঘর, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, এএইচ ডেভেলপমেন্ট পাবলিশিং হাউজ, অ্যাডর্ন পাবলিকেশন, সংহতি প্রকাশন, শ্রাবণ প্রকাশনী, বাংলা একাডেমি, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড, বাতিঘর, অন্যপ্রকাশ, সময় প্রকাশন, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, আগামী প্রকাশনী, প্রথমা প্রকাশন, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, পাঠক সমাবেশ, ঐতিহ্য, নালন্দা প্রকাশনী, দিব্যপ্রকাশ, তাম্রলিপি, রকমারি, জাগৃতি প্রকাশনী, অনুপম প্রকাশনী, মাওলা ব্রাদার্স, অনন্যা, কথাপ্রকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা, কাকলী প্রকাশনী, সাহিত্য প্রকাশ, একাডেমিক প্রেস অ্যান্ড পাবলিশার্স লাইব্রেরি, স্বরে অ, ডেইলি স্টার বুকস, বেঙ্গল পাবলিকেশন্স, ভাষাচিত্র, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
মেলায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টল থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়ে বই কেনার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা।
বইয়ের বিকিকিনির পাশাপাশি আগত দর্শনার্থীদের জন্য ফটো কনটেস্ট ও র্যাফল ড্রর আয়োজনও থাকছে মেলায়।
এসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নেয়ার সুযোগ থাকছে। এ বছর প্রথমবারের মতো ‘বর্ষসেরা নন-ফিকশন বই’ পুরস্কার প্রবর্তন করতে যাচ্ছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশকদের মনোনীত বই থেকে বিচারক প্যানেল ২০২২ সালের সেরা নন-ফিকশন বই নির্বাচিত করবেন। মেলার শেষ দিন সমাপনী অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা নন-ফিকশন বই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।