এখন ডিম মুরগির বাজার কর্পোরেটদের দখলে, তাই বর্তমানে যে ডিম মুরগি বাজারে আছে বেশির ভাগ কর্পোরেটদের ও চুক্তি খামারের। প্রান্তিক খামারিদের বেশির ভাগ খামার বন্ধ তাই ডিম মুরগির সংকট। কর্পোরেট কোম্পানিদের স্বেচ্ছাচারিতায় ডিম মুরগির বাজার অস্থির।
প্রান্তিক খামার ও কর্পোরেটদের সাথে চুক্তি খামারের উৎপাদন খরচই বদলে দেয় বাজার পরিস্থিতি। একদিকে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের অনেক খামার বন্ধ হচ্ছে। অন্যদিকে গড়ে উঠছে কর্পোরেট কোম্পানিদের চুক্তি ভিক্তিক ডিম ও মুরগির খামার। এখনই যদি ব্যবস্থা নেয়া না হয় জিম্বি হয় পড়বে ভোক্তা ও প্রান্তিক খামারিরা।
পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা বাজার প্রতিযোগিতায় না থাকায় ডিম ও মুরগির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। প্রান্তিক খামারিদের জন্য এক বস্থা ৫০কেজির পোল্ট্রি ফিডের মূল্য ৩৬৫০ টাকা। এক দিনের মুরগির বাচ্চার মূল্য ৬০ টাকা। কর্পোরেটদের সাথে চুক্তি খামারে এক বস্তা পোল্ট্রি ফিডের মূল্য ২৬০০টাকা। একদিনের মুরগির বাচ্চার মূল্য ৩৫ টাকা। প্রান্তিক খামারিদের কর্পোরেটদের চুক্তি খামার করার জন্য বাধ্য করে। সকল খামারিদের ডিম ও মুরগি তাদের জিম্বায় নিয়ে! ভোক্তাদের জিম্বি করে বাজার সিন্ডিকেট করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তূ এদের ক্ষমতার উশ্য কোথায়? দেশের সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে সাধারণ জনগণকে বিপাকে ফেলে দেয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে কর্পোরেট কোম্পানিদের ১০% ডিম মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। কোম্পানি গুলো পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চা ১০০%উৎপাদন করে ! তাই কর্পোরেট শুধু ফিড ও বাচ্চা উৎপাদন করার বাদ্য করতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে তদারকি করে সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা দিতে হবে। প্রান্তিক খামারিদের ডিম মুরগি ৯০% উৎপাদন করেন। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরণের সহযোগিতা করে প্রান্তিক খামারিদের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে। আমরা সিন্ডিকেট বাজার চাইনা আমরা বেঁচে থাকতে চাই, সব সময়ের জন্য উৎপাদন খরচে সাথে সমন্বয় করে আংশিক লাভ চাই।
যেমন ব্রয়লার ১কেজি মুরগি উৎপাদন খরচ ১৫০টাকা, অন্যদিকে ১ কেজি সোনালী মুরগির উৎপাদন খরচ ২৬২টাকা। আর ১টি ডিমের উৎপাদন খরচ ১১ টাকা। সকলের লাভসহ ভোক্তা পর্যায় ১কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ -টাকা থেকে ১৯০ টাকা। ১ কেজি সোনালী মুরগি ২৯০টাকা থেকে ৩০০ টাকা। ১টি ডিম ১২-৫০ টাকা পয়সা থেকে ১৩টাকা এর বেশি চাইনা।
কর্পোরেট কোম্পানি ও তাদের চুক্তি খামারের কারণে খামারি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যেমন ভাল মানের মুরগীর বাচ্চা ও ফিড কম দামে তাদের খামার গুলোতে সরবরাহ করে। প্রান্তিক খামারিদের কাছে নিম্ন মানের মুরগির বাচ্চা ও ফিড সরবরাহ করে থাকে। যার কারণে খামারি গণ লসের সম্মুক্ষীন হয়ে তাদের পাতানো ফাঁদ চুক্তি খামারের যুক্ত হয় অথবা খামার বন্ধ করে দেয়।
কর্পোরেট কোম্পানি গুলো এমন ভাবে চুক্তি করে যে খামারিদের নীল চাষের মত জামানত স্টাম্প ব্ল্যান্ক চেক দলিলের ফটোকপি খামারি চাইলেও ছুটতে পারেনা সরকারের পক্ষ থেকে পোল্ট্রি বোর্ড গঠন করে পোল্ট্রি ফিড মুরগির বাচ্চা ডিম মুরগির বাজার কঠোর ভাবে হস্তক্ষেপ করার প্রয়জন।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net