ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হারুন অর রশীদকে। তাকে বদলি করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
একই আদেশে হারুনের স্থলে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধানের পদে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আশরাফুজ্জামান। এর আগে তিনি ডিএমপি লজিসটিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
ডিএমপি ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিনকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
বিভিন্ন মামলায় বা অন্যান্য অভিযোগে আটকদের নিয়ে হারুনের খাবার খাওয়ার ছবি ও ভিডিও প্রায়ই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের সঙ্গে নিয়ে তার খাবার খাওয়ার দৃশ্য নিয়ে সমালোচনা হয়। সোমবার (২৯ জুলাই) এক রিট শুনানির সময় হারুনের এ ধরনের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। রিট শুনানির সময় আদালত বলেন, ‘ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন, এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।’
এদিন (সোমবার) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকেও হারুনকে নিয়ে অভিযোগ করেন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। উচ্চ আদালত ডিবি হারুনের এসব ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে যে মূল্যায়ন দিয়েছেন সে বিষয়টি তুলে ধরে তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, এটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ডিবিতে যে সমন্বয়কদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে এটি ঠিক হয়নি।
১৪ দল থেকে ডিবির এ ধরনের কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে ডিবি প্রধানের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সমালোচনা করা হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিবির এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেই রাতেই কথা বলবেন।