ডা. মুরাদকে ক্ষমা করে দিল আওয়ামী লীগ

::
প্রকাশ: ২ years ago
সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান। ফাইল ছবি

পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট:
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে ক্ষমা করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নারীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে দলীয় পদ ও সংসদ সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে যারা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছিলেন তাদের বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর মুরাদ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন।

ওই চিঠিতে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে দল বা দলীয় প্রধানকে বিব্রত করতে পারে ভবিষ্যতে এমন কিছু করবেন না বলে জানান।

এদিকে, ক্ষমা পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তাকে অংশ নিতে দেখা যায়।

সভা শেষে মুরাদ হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ক্ষমার বিষয়ে তিনি এখনো কোনো চিঠি পাননি।

আওয়ামী লীগের অনেককেই ক্ষমা করা হয়েছে, আপনি ক্ষমা চেয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, আমি আবেদন করেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু এখনো চিঠি আনতে যাইনি।

ডা. মুরাদ হাসান আরও বলেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আরও গুরুতর কথা বলেছিলেন, তাই তিনি চিঠিটা দ্রুত নিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক গণমাধ্যমকে জানান, ক্ষমা পাওয়া নেতাদের মধ্যে মুরাদও আছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় ডা. মুরাদ হাসান।

ক’দিন আগেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকেও ক্ষমা করে আওয়ামী লীগ।

কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ডা. মো. মুরাদ হাসান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে পাঁচ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দপ্তর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। বিশেষ করে রাষ্ট্রধর্ম, রাজনীতি, খালেদা জিয়ার নাতনি ও ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার উল্টাপাল্টা মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের কারণে নানা সময় দলীয় সহকর্মীদেরও বিব্রত হতে হয়েছে।

২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা নাহিদ রেইনস পিকচার্স-এর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরাদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এরপর অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহির মধ্যে ফোনালাপের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তিনি আরেকটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।


Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। আপনিও লিখুন।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net