পাবনার ঈশ্বরদীতে জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে জিমু খাতুন (১৮) নামের এক প্রসূতিকে ঝাড়ুদারের মাধ্যমে প্রসব করানোর অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে ওই প্রসূতির নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটে। প্রসূতি জিমু নাটোরের লালপুর উপজেলার মাঝগ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী।
ঘটনার পর সাইদুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার (৮ জুন) সকালে হাসপাতালটির মালিক ডা. নাফিসা কবীর, ঝাড়ুদার ও আয়া পারুল, সাথী ও রাসেলের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
প্রসূতির স্বামী সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে গত ৬ জুন জমজম হাসপাতালে আনি। ডা. নাফিসা কবীরকে তাকে দেখাই। তিনি ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রামসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে জানান সব স্বাভাবিক আছে। শুক্রবার জিমুর প্রসব বেদনা শুরু হয়। রাত ১টার দিকে তাকে জমজম হাসপাতালে ভর্তি করি। ডা. নাফিসা আবারও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেন এবং বলেন সব স্বাভাবিক আছে, ২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক ডেলিভারির সম্ভাবনা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর ওই চিকিৎসক বাসায় চলে যান। রাত ৩টার দিকে আমার স্ত্রীর তীব্র ব্যাথা শুরু হয়। তাকে ডেলিভারির জন্য ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ডা. নাফিসা হাসপাতালে ছিলেন না। নার্স ও ঝাড়ুদাররা আমার স্ত্রীর ডেলিভারি করান। কিছুক্ষণ পর আমাকে বলা হয়, মৃত সন্তান হয়েছে। এরপর ডা. নাফিসা কবীর হাসপাতালে এসে একই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমার স্ত্রীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় হাসপাতালটির মালিক ডা. নাফিসা কবীরের মুঠোফোনে। তিনি বলেন, ‘পুলিশ প্রসাশনের কাছে বক্তব্য দিয়েছি। এ ব্যাপারে আর কারো সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাই না।’
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রসূতির স্বামীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’