জেনে নিন রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আদ্যপান্ত

:: Rayhan Hossain
প্রকাশ: ২ years ago

পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:

আজকাল প্রায় মানুষই ব্যবসায় করতে চান। বর্তমানে বেশীরভাগ তরুণ উদ্যোক্তারা নিজের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করার উপর ঝোঁক বেশী। রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে পছন্দ কে না করে। সব শ্রেণীর মানুষই রেস্টুরেন্টে পরিবার পরিজনসহ সময় কাটাতে পছন্দ করে।

অনেকে বাইরে সময় কাটাতে চায় বেড়াতে যান, এসব জায়গাতেও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ের চাহিদা অনেক। তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাই পছন্দ করেন, এই সুবাদে রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় ভালোই লাভজনক হয়ে থাকে।

কিভাবে শুরু করবেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা? চলুন তা নিয়েই আলোচনা করবো আজ।

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পরিকল্পনা

ব্যবসা করবেন ভেবে হঠাৎ করেই না জেনে বুঝে কিছু শুরু করে দিলেই কিন্তু হয় না। যে জিনিস নিয়ে আপনি উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে আগে রিসার্চ করুন, কোন ডিশ রাখলে বেশী কাস্টোমার পাবেন,

কীভাবে বেশী আয় করবেন? খরচ কেমন হবে?কোথায় রেস্টুরেন্ট দিলে ভালো হবে? সেখানের মানুষের আর্থিক অবস্থা কেমন? রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন কেমন হওয়া উচিত, বিনিয়োগ করতে কতো খরচ করবেন? কি কি মেনু রাখতে চান?

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পুঁজি

আপনার কত মূলধন এর প্রয়োজন হবে, তা নির্ভর করে সাধারণত কোথায় আপনি রেস্টুরেন্ট শুরু করতে চাচ্ছেন? আপনি কেমন ভোক্তাদেরকে টার্গেট করে রেস্টুরেন্ট তৈরি করছেন? আপনি কি কি খাবার বিক্রি করবেন। নিচে আনুমানিক প্রয়োজনীয় মূলধনের পরিমাণ দেওয়া হলো,

রেস্টুরেন্ট এর যাবতীয় জিনিসপাতি যেমন: চুলা, ওভেন, কফি মেকার, ফ্রিজ ইত্যাদিতে আনুমানিক ২,০০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে।

গ্রোসারি, ডেকোরেশন এসবে সবথেকে বেশী বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। আপনি এসব জিনিসের মার্কেট প্রাইজ দেখে ধারনা করতে পারেন।

দোকান ভাড়া আপনার সিলেক্টেড লোকেশনের উপর ডিপেন্ডেড।

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার লাইসেন্স

ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, টিন সার্টিফিকেট

এই ৩টি দিয়ে শুরু করে দিতে পারবেন। তারপর ব্যবসা সফল হলে ২ বছরের মধ্যে রেস্তোরাঁ পরিচালনার লাইসেন্স নিতে হবে।

 

বাজেট নির্ধারণ

এরপরের ধাপ বাজেট নির্ধারণ করা আপনার খাবারের মেনুর। আপনার সাধারণত কত টাকা খরচ হতে পারে আপনার নির্ধারিত মেনুতে তার একটি সম্ভাব্য বাজেট তৈরি করে ফেলুন আগেই। বাজেট নির্ভর করে রেস্টুরেন্ট এর লোকেশন,যন্ত্রপাতি ও আপনার দক্ষতা ইত্যাদির উপর।

প্রথম দিকে খাবার এর মেনুতে খাবার লিস্টে পরিমাণ কম রেখে শুরু করতে পারেন। এতে বাজেট খরচ কম হয়ে যাবে প্রথম দিকে। কিন্তু খাবারের মান ভালো থাকাটা খুবই প্রয়োজন, তা না হলে কাস্টোমারের নজর কাড়তে পারবেন না।

তাই এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে সবসময় আপনাকে।রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ে খাবারের কোয়ালিটি এবং টেস্ট এর উপর ভিত্তি করে প্রচার ও প্রসার ঘটে, সাথে যদি রেস্টুরেন্ট এর ডেকোরেশন আকর্ষণীয় হয় তাহলে-তো আর কথাই নেই।

যারা রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ে জড়িত, তাদের সাথে বিস্তারিত কথা বলার চেষ্টা করতে পারেন। তাদের কাছ থেকে জানুন, তাদের রেস্টুরেন্টে মানুষের কোন খাবার বেশি পছন্দ করছে, স্বাস্থ্যকর খাবার সংগ্রহও সরবরাহের জন্য তারা কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন প্রতিনিয়ত ইত্যাদি।

 

রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন ডিজাইন

একটি রেস্টুরেন্টের ভিতরের ডিজাইন অনেক বেশি আকর্ষণীয় করাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাস্টোমার এঙ্গেজের জন্য। ভালো ও টেস্টি খাবারের সাথে আকর্ষণীয় ডিজাইন সমন্বয় করতে পারলে সহজে কাস্টোমার ধরে রাখাতে পারবেন।বর্তমানে মানুষ একটি রেস্টুরেন্ট শুধুমাত্র খাওয়ার জন্যই যায় না।

সবাই চায় এমন একটি সুন্দর পরিবেশ যেখানে কিছু সময় পার করা যায় এবং সেলফি ট্রেন্ডতো আছেই। সুতরাং রেস্টুরেন্ট এর জায়গা নির্ধারণের ক্ষেএে এমন জায়গা নির্ধারণ করুন, যেখানে কাস্টোমারদের জন্য প্রয়োজনীয় আলো বাতাস থাকবে এবং রেস্টুরেন্টের ভিতরের ডেকোরেশনটি মার্জিত করার চেষ্টা করুন।

 

রেস্টুরেন্টটি চালু করা

পরের ধাপ হলও আপনার রেস্টুরেন্টটি চালু করা। তবে তার আগে আপনার রেস্টুরেন্ট এর সম্পর্কে পোস্টারের মাধ্যমে, এলাকায় প্রচার করলে সহজেই মানুষ জানতে পারবে! কি কি খাবার তৈরি করবেন সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা থাকবে কিনা তাও লিখে দিবেন পোস্টারে

দুপুরের মেনুতে কি খাবার থাকবে এবং বিকালের মেনুতে কি খাবার থাকবে, রাতে কি কি থাকবে সব জানাতে হবে মানুষকে। আপনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন এমন কিছু সিস্টেম এবং মেনু রাখতে যেখানে মানুষে চোখ পড়ে।

যে এলাকায় রেস্টুরেন্ট সেখানে আপনার প্রতিযোগীদের তালিকা তৈরি করুন এবং তাদেরকে টক্কর দিয়ে কিভাবে মার্কেটে টিকে থাকবেন তার জন্য যথাযথ বিজনেস প্লান গ্রহন করেন নিজের দক্ষতা বাড়ান।