‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিংকে কেন্দ্র করে নানাভাবে খবরের শিরোনাম হয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। নানা অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের পর অনিশ্চয়তায় পড়ে সিনেমাটি। ফলে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার প্রযোজক এবার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি সংবাদমাধ্যমে সরাসরি জানালেন, ‘ছায়াবাজি’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে ভারতীয় এই নায়িকাকে।
মিথ্যাচারের কারণে তাকে বাদ দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, সিনেমাটি নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। শুটিং শেষ করতে পারব কিনা সেটা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে আমি আমার জায়গা থেকে সরছি না। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সায়ন্তিকা ও জায়েদ খান যদি নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর কাছে ক্ষমা না চায়, তাহলে অন্য চিন্তা করব। দরকার হলে তাদের বাদ দিয়ে অন্য নায়ক-নায়িকা নিয়ে শুটিং করব।
‘ছায়াবাজি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য গত আগস্টের শেষ দিকে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। কলকাতার এই নায়িকাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন ছবির নায়ক জায়েদ খান। বিমানবন্দরের একাধিক স্থিরচিত্রে দেখা গেছে, সায়ন্তিকার সঙ্গে ছিলেন কলকাতার পরিচালক রাজীব বিশ্বাস।
ঢাকায় নেমেই শুটিংয়ে কক্সবাজারে ছুটে যান সায়ন্তিকা। শুটিং চলার কয়েক দিন পরই কলকাতার এই নায়িকার সঙ্গে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর শুটিং শেষ না করে চলে যান তিনি। দেশ ছাড়ার পরই প্রযোজক মনিরুল ইসলাম, নায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা সায়ন্তিকাকে নিয়ে নানা ধরনের কথা চাউর হতে থাকে। একে অপরকে নিয়ে অসম্মানজনক ও অশ্রদ্ধাপূর্ণ কথাও বলেন। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, ছবিটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
প্রযোজক জানান, ‘ছায়াবাজি’ সিনেমায় সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়ে তাঁর বদলে দেশি নায়িকা নিয়ে কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘এত মিথ্যাচার আর নিতে পারছি না। এ ছবির কাজ আর করব না। যদি করিও, সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়ে দেশি শিল্পী নিয়ে নতুন করে এ ছবির কাজ শুরু করব। ’
মনিরুল ইসলাম আরও জানান, ছায়াবাজি নামে তিনি মূলত একটি ওয়েব সিরিজ বানাতে চেয়েছিলেন। এরপর জায়েদ খানের অনুরোধে পরিকল্পনা বদল করেন তিনি। তাঁর মতে, ‘এই গল্প নিয়ে একটি ওয়েব ফিল্ম বানানোর কথা ছিল। কিন্তু জায়েদ খানের অনুরোধেই এটি সিনেমা হিসেবে শুরু করি। নইলে এই ছবির কোনো প্ল্যানিং ছিল না আমার। জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা মিলে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। ’
এদিকে ছবিটির নানা জটিলতার মধ্যে অর্থনৈতিক ব্যাপারেও অভিযোগ উঠে আসে। এ বিষয়ে জায়েদ খান জানান, এ ছবির শুটিং এতটাই অব্যবস্থাপনায় পরিপূর্ণ ছিল যে নায়িকার কস্টিউম, হোটেল ভাড়া, খাবারের বিলও তিনি দিয়েছেন। ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা হোটেল বিল এসেছিল। প্রযোজক ৯৭ হাজার বিল দিয়ে চলে গেছেন। বাকি টাকা তিনি দিয়েছেন। তাঁর মতে, প্রযোজক প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছেন। তার কথা ও কাজে মিল নেই।