ছোটখাটো ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সিলেটের নির্বাচন

:: সিলেট ব্যুরো ::
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিছিন্ন কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে সিলেটের চার উপজেলায় অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল একেবারই শূণ্য দেখা যায়।

বুধবার (০৮ মে) সকাল ৮টা থেকে সারাদেশে ষষ্ঠতম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। আর শেষ হয় বিকেল ৪টায়। সিলেট জেলার চার উপজেলার মধ্যে উপজেলা নির্বাচন হয় সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ। এই চার জেলায় ভোটাভোটি হয় চারটি পদে। পদগুলো হল- চেয়ারম্যান পদ, মহিলা চেয়ারম্যান পদ, ভাইস চেয়ারম্যান পদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টার দিকে সিলেটের ভোট কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ব্যাতিত ভোটাদের কোনো উপস্থিতি দেখা যায়নি। অবশ্য বেলা বাড়ার সাথে সাথে দুপুর ১২টার দিকে কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশ দেখা যায়। এর মধ্যে দুপুর ১২টার পর থেকে সিলেটের কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিছিন্ন ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে সাময়িক সময়ের জন্য ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

স্থগিত ভোট কেন্দ্রের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় দুপুর ১২টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দলদলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এক যুবকের জাল ভোটকে কেন্দ্র করে। এ সময় প্রায় ১ঘন্টার মতো ভোট গ্রহণ বর্জন করা হয়। পরে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর বিকেল ৩টার দিকে একই উপজেলার লাক্কাতুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেখানেও সাময়িক সময়ের জন্য ভোট গ্রহণ বর্জন করেন চা শ্রমিকেরা। এ ঘটনায় পূর্বে দুইজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নতুন দুইজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে দিয়ে ভোট গ্রহণ করানো হয়।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সিলেট সদরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, এই মুহুর্তে সিলেট সদরের কোনো কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ স্থগিত নয়। দলদলিতে চা বাগানের কেন্দ্রগুলোতে সাময়িক একটু সমস্যা হয়েছিলো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সহযোগিতায় সেখানে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ভোটাদের সংখ্যা খুবই কম।

এর আগে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। উপজেলার গোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোট দিয়ে সুজাত আলী রফিক অভিযোগ করে বলেন, মোগলগাঁও এলাকার একটি কেন্দ্রে তার এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এভাবে জোড় যার মুল্লুক তার হতে পারে না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আহবান করছি।

এদিকে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পরিষদের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই শূণ্য বলা যায়। অথচ এই কেন্দ্রে তিনটি পদের জন্য ১৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলার ৭৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে হাতেগুনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ছাড়া সবগুলো ভোট কেন্দ্র একেবারে ফাঁকা ছিলো। তবে সিলেটের দিন ব্যাপী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা বা সহিংসতা মূলক কোন ঘটনা দেখা যায়নি।

সিলেট/ অমিতা/ ৮ মে ২০২৪ ইং