রাজধানীর উত্তরায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নারীসহ এক চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানা গেছে। গত রোববার রাতে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠায় উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ।
শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চীনা নাগরিক জি সেন ওরফে ড. সেন (৫৮) ও তার সহযোগী হিরা চাকমা (২৫)।
ড. সেন উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ৯০ নম্বর বাসায় থাকতেন। তার সহযোগী হিরা চাকমা রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বিরলাল চাকমার মেয়ে।
ভুক্তভোগী চাকমা ছাত্রীর মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তিনি একটি সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি কম্পানিতে চাকরি করেন। ১৫ দিন আগে হিরা চাকমার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়।
ফেসবুকে কথাবার্তার এক পর্যায়ে হিরা চাকমা জানান, চীনা নাগরিক জি সেনের সঙ্গে তার বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি চাকমা মেয়ে বিয়ে করতে চান। তখন ভুক্তভোগী ছাত্রীও জানান, তিনিও চীন যেতে চান। তিনি হিরার প্রলোভনে গত শুক্রবার ড. সেনের বাসায় আসেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ড. সেন তাকে ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমাকে তারা রোববার উত্তরার একটি কফি শপে নিয়ে যান। তখন সেখানকার একজন নারীকে বিষয়টি জানিয়ে সহযোগিতা চাই। পরে সেখান থেকে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে এবং তাঁদের আটক করে।’
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল হক সোমবার বলেন, ‘চাকমা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পরপরই চীনা নাগরিক ও তাঁর সহযোগী চাকমা মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে সোমবার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠায় উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’