চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে এবং সহযোগিতা বাড়াতে ইচ্ছুক ইরান। সোমবার ইরানের রাজধানী তেহরানে সাংবাদিকদের এমনটা বলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
জুলাইয়ের শেষের দিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই এ মন্তব্য করেন পেজেশকিয়ান।
২০২৩ সালে ইরান সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থায় যোগ দিয়েছিল। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ব্রিকসের পূর্ণ সদস্যপদও অর্জন করেছে দেশটি।
চীন-ইরান সম্পর্কের সম্ভাবনাকে কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে পেজেশকিয়ান চীনের সফল মধ্যস্থতার প্রশংসা করেন, যা ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে পুনর্মিলন ঘটিয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট মাসুদ বলেন, ইরান সবসময় চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেছে। ইরান-সৌদি বিরোধ সমাধানে চীনা মধ্যস্থতা আঞ্চলিক সম্প্রীতির একটি বড় পদক্ষেপ বলেও জানান তিনি।
মাসুদ বলেন, ইরান চীনের একটি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদার এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে এবং প্রাসঙ্গিক চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করবে তার দেশ।
পেজেশকিয়ান ইসরায়েলকে তেহরানে হামাসের সাবেক রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার মাধ্যমে সংঘাতে টেনে আনার এবং আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করার অপচেষ্টার অভিযোগ তোলেন।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা সংঘটনের জন্য ইসরায়েলের নিন্দাও করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে পেজেশকিয়ান উল্লেখ করেছেন, ইরান যুদ্ধের পরিবর্তে শান্তি চায় এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো পরিকল্পনা দেশটির নেই।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের প্রতি শত্রুতা ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে কিনা তার ওপর মার্কিন-ইরান সম্পর্কের উন্নতি নির্ভর করছে। ইরান বহুপাক্ষিকতার কাঠামোর মধ্যে চীনের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান পেজেশকিয়ান।