গ্রাম থেকে শহরে চাকরির পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তরুণী। এ সময় তার সঙ্গে আলাপ হয় এক নারী কনস্টেবলের। মেয়েটি নিজের গ্রামের জেনে তাকে বাড়িতে থাকতে দেন তিনি। আর সেটাই যেন কাল হয়ে ওঠে। চাকরি পাবার পর কনস্টেবলের স্বামীর সঙ্গেই পালিয়ে গেলেন সেই তরুণী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনাটি বিহারের পাটনা শহরের। ওই তরুণী বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছেন। তার এই কীর্তির খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন বাড়িওয়ালি নারী।
জানা গেছে, পাটনার দারভাঙায় দুই বছরের মেয়ে এবং স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল বাড়িওয়ালির। কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশে থেকে আসা একটি মেয়েকে বাড়ি ভাড়া দেন তিনি। তাদের বাড়িতে থেকেই চাকরি পান তরুণী। এরপর সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। তবে মাসখানেক পর আচমকাই গায়েব হয়ে যান তরুণী। একইদিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন বাড়িওয়ালির স্বামীও। এ সময় দুজনের ফোনও বন্ধ ছিল।
বাড়িওয়ালির অভিযোগ, অনেক খুঁজেও স্বামী এবং তরুণীর সন্ধান পাননি। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার। এ সময় তিনি স্ত্রীকে ডিভোর্সের কথা বলেন। এরপর আর বুঝতে বাকি থাকে না তার স্বামীই তরুণীকে নিয়ে পালিয়েছেন। এরপরই দুই বছরের শিশুকে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন বাড়িওয়ালি।