ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর— দুই দিনব্যাপী বিশ্বের ২০ শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশের জোট জি-২০ এর শীর্ষ সম্মেলন হবে। এই সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের নৈশভোজের আনুষ্ঠানিক নিমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রুপদি মুর্মু।
তবে এই নিমন্ত্রণপত্রে ভারতের প্রেসিডেন্টের পদবির জায়গায় ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’-এর বদলে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত।’ এরমাধ্যমে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কি ‘ইন্ডিয়া’ নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘ভারত’ হয়ে যাচ্ছে? (বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া ছাড়া পৃথিবীর সব জায়গায় ভারত ‘ইন্ডিয়া’ নামে পরিচিত)।
তবে দেশের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি এত সহজ হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও লোকসভার সাবেক মহাসচিব পি ডি টি আখারি।
তিনি বার্তাসংস্থা এনআইকে বলেছেন, নাম পরিবর্তন করতে হলে সংবিধানে একাধিক সংশোধনী আনতে হবে।
এই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, ভারতের সংবিধানে শুধুমাত্র অনুচ্ছেদ-১ এ ‘ভারত’ শব্দটি উল্লেখ আছে। সেটিও বর্ণনামূলক। এতে লেখা আছে ‘ইন্ডিয়া, এটি হলো ভারত।’
কিন্তু যদি নাম পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয় তাহলে কী করতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘তাদের সংবিধানে সংশোধনী আনতে হবে। অনুচ্ছেদ-১ পরিবর্তন করতে হবে এবং এর প্রেক্ষিতে অন্যসব অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনতে হবে। যেখানেই ইন্ডিয়া শব্দটি আছে সেখানেই যেতে হবে। আপনি দেশের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি নামই ব্যবহার করতে পারবেন। এক নামের সঙ্গে আরেক নাম পরিবর্তন করবেন এমন সুযোগ নেই। এটি শুধু ভারতে নয় পুরো বিশ্বেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘জাতিসংঘে ভারত— রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া নামে পরিচিত। যদি জাতিসংঘে রিপাবলিক অব ভারত ব্যবহার করতে চাওয়া হয় তাহলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে এ ব্যাপারে তথ্য জানিয়ে বলতে হবে— আমাদের নাম পরিবর্তিত হয়েছে।’
এদিকে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতে ৫ দিনের জন্য লোকসভার (আইনকক্ষ) বিশেষ অধিবেশন বসবে। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করা হতে পারে!