গ্রিন-টি বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ওয়েটলস ড্রিঙ্কের কথা বলতে গেলে গ্রিন-টির নামটি এর শীর্ষে আসে।
ওজন কমানো থেকে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ এবং এটি হজমে উন্নতি করে। গ্রিন-টি পান করলে কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। এর উপকারের তালিকা খুবই দীর্ঘ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে দিনে এক কাপ থেকে দুই কাপ গ্রিন-টি পান করা স্বাস্থ্যকর।
তাহলে জানুন গ্রিন-টি পান করার উপকারিতা:
খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে
গ্রিন-টি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমতে দেয় না। রক্তনালিতে এসব ফ্যাট জমলে রক্ত সঞ্চালন বাধা পায়। মেটাবলিজমের মাত্রা বাড়িয়ে দ্রুত ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। গ্রিন-টি পলিফেনল ও ফ্লাভেনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ
গ্রিন-টি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বক মসৃণ রাখতে এবং বয়োবৃদ্ধি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
স্মৃতিশক্তির উন্নতি
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গ্রিন-টি নানাভাবে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে অ্যালার্টনেসও বাড়াতেও এই পানীয়টি বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই কারণেই তো সকাল-বিকেল এই চা পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
দুর্বলতা ও অবসন্নতা
গ্রিন-টিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন রয়েছে যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে ও শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া শরীরের দুর্বলতা বা অবসন্নতা দূর করে
অ্যাজমা, স্ট্রোক ও হৃদরোগ
অ্যাজমা, স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। গ্রিন-টিতে উপস্থিত ফ্লুরাইড ও পলিফেনল দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। দাঁতের ক্যাভিটি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। পরিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
দাঁতের এনামেল
অ্যান্টিভাইরাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। দাঁতের এনামেলকে শক্তিশালী করে। মুখের প্ল্যাক ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে। স্মৃতিশক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে। ফুড পয়জনিং প্রতিরোধ করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। অ্যালঝেইমার ও পার্কিনসন্স রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সতর্কতা
খালি পেটে ও গভীর রাতে চা-পান করবেন না। টি-ব্যাগ পুনর্ব্যবহার করবেন না। এছাড়া খাবার খাওয়ার পরপরই চা-পান করবেন না। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। আসুন আমরা স্বাস্থ্য সচেতন হই।