গুলিস্তানে সংঘর্ষের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম রেজাউল করিম। তিনি শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা পশ্চিম গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম রেজাউল করিম। তবে তার কোনো আত্মীয়-স্বজন পাওয়া যায়নি। এছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পুলিশের কাছে আছে। বিস্তারিত পরিচয় জানার জন্য সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট তার আঙুলের ছাপ নিয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন যুবলীগ কর্মীসহ অন্তত চারজন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের পশ্চিম পাশের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার যুবলীগের কর্মী নোমান হোসেন রনি (৩২), দিনমজুর মোবাশ্বের (২৩), রাজমিস্ত্রি আরিফুল ইসলাম (১৮) ও স্কুলশিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন (১৬)।
হাসপাতালে আহত রনির সঙ্গে থাকা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত হাসান মিয়া বলেন, তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন মিয়ার সমর্থক। নেতাকর্মী নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এসেছিলেন।
তার অভিযোগ, সমাবেশ শেষ করে সেখান থেকে কেরানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে এলে পেছন থেকে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা তাদের ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পরবর্তী সময়ে আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এর আগে সমাবেশের সময় তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ওই যুবকের বাম পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। বাকি চারজনের অবস্থাও গুরুতর। তাদের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে যতটুক জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন চারজন।
এদিকে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সালাউদ্দিন মিয়া জানান, গোলাপ শাহ মাজারের পাশে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন। তবে যতটুক জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির এই ঘটনা ঘটে।