গভীর রাতে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে মুখোশধারীরা এক নারীকে ধর্ষণের পর আলমারি খুলে সাড়ে তিন লাখ টাকা লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলার মহেশখালীতে।
ভুক্তভোগী ওই নারী এখন মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি উপজেলার কালারমার ছাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি জানিয়েছেন, তার স্বামী চিকিৎসার কাজে চট্টগ্রাম শহরে রয়েছেন। এই সুযোগে বুধবার গভীর রাতে মুখোশধারীরা তার ঘরে হানা দেয়।
বুধবার রাতে বাড়িতে আমি ও আমার ননদ ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে জানালা ভেঙে কয়েকজন সন্ত্রাসী ঘরে ঢুকে আমার মুখ চেপে ধরে এবং আমার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর কয়েকজন মিলে আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে। আলমারির চাবি দিতে রাজি না হওয়ায় একজন ধর্ষণ করে। পরে তারা আমার কোমরে থাকা চাবি ছিনিয়ে নিয়ে আলমারির ভেতরে রাখা সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, জমি অধিগ্রহণ থেকে উত্তোলনকৃত টাকা পারিবারিকভাবে ভাগবাটোয়ারার পর তার স্বামী প্রায় ৪ লাখ টাকা পান। সেখানে থেকে পারিবারিক কাজে কিছু খরচ করে বাকি সাড়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাবার বাৎসরিক মেজবান ও মায়ের ওমরাহর জন্য জমা রেখেছিলেন। সেই টাকাই লুট করেছে ডাকাতরা।
ঘটনার সময় ওই নারীর সঙ্গে থাকা তার ১০ বছর বয়সী ননদ জানায়, তার ভাবিকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে বাসায় থাকা টাকা নিয়ে গেছে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা।
কালারমারছড়ার ইউপি সদস্য মুহাম্মদ আলী বলেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী ঘরে ঢুকে আমার এক আত্মীয়কে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছে। আমি বিষয়টি জেনে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি এবং প্রশাসনে খবর দিয়েছি।
মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক মুহাম্মদ রায়হান বলেন, কালারমারছড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের আলামত পেয়েছি। ওই নারীর শরীরে কামড়ের একাধিক দাগ ও আঁচড় রয়েছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনার আদ্যোপান্ত জনার চেষ্টা করছি।