খুলনায় বাড়িতে ঢুকে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর রাতে নগরীর হরিণটানা থানার কৈয়া বাজার সংলগ্ন গ্রামে এ ধর্ষণ ও লুটপাট হয়। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোবিন্দ ফৌজদার (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে।
ভিকটিম কিশোরী ও তার মা-বাবাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের ক্রাইম সিনের সদস্যরা ধর্ষণ সংঘঠিত হওয়া ঘরটি সিল করে দিয়েছে।
প্রতিবেশী ভারতী মল্লিক ও উত্তম কুমার মল্লিক জানান, গোবিন্দ ফৌজদার নামে স্থানীয় এক যুবক প্রায় মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাবসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। কিন্তু মেয়েটি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। পরে পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ তাকে ধর্ষণ ও তার বাড়িতে লুটপাট করেছেন।
তারা জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির কিছু দিন আগে আশির্বাদ (বাগদান) হয়েছে। কয়েক দিন পর তার বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তিন জন দুর্বৃত্ত অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে প্রায় একঘণ্টা ধরে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ির স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে গোবিন্দ নামে একজন যুবক বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ঐ প্রস্তাবে মেয়ের পরিববার রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিন জন মিলে ধর্ষণ করেছে। গোবিন্দকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি সনাক্ত করেছে। গোবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য দুই যুবককে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।
এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’