ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়া আরও সহজ হলো

:: পা.রি. রিপোর্ট ::
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার সুযোগ আরও বিস্তৃত হলো। কারণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়ার শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে ছোট উদ্যোক্তাদের কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গঠিত ২৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের বিতরণের নীতিমালা শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে কোনো খাতে তহবিলের অর্থ থেকে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। এ শিথিলতা আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

এ বিষয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে উলে­খ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণের জোগান দিতে ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠণ করে। ওই তহবিল থেকে বিশেষ করে ছোট উদ্যোক্তাদের ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ অর্থের ৬০ শতাংশ মেয়াদি ঋণ ও ৪০ শতাংশ চলতি মূলধন হিসাবে বিতরণ করতে হবে।

মেয়াদি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ৫ বছর মেয়াদে ত্রৈমাসিকভিত্তিতে ও চলতি মূলধন ঋণের প্রদত্ত অর্থ এক বছর পর সুদসহ এককালীন আদায় করতে হবে।

এ তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহককে কোনো জামানত দিতে হবে না। জামানত ছাড়াই ঋণ দেওয়া হবে। তবে গ্রাহকের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্যারান্টি নেওয়া হবে।

 

উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র উদ্যোগ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কারা?
আমরা অনেকেই জানি না উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র উদ্যোগ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কারা। একজন ব্যক্তি যখন নিজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে কোন চাকরি বা কারো অধিনস্ত না থেকে নিজে থেকেই কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন বা পরিকল্পনা শুরু করেন তখন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় । ব্যবসায় উদ্যেক্তার উদ্যেগ যখন সফল কিংবা স্বনিরভর হয় তখন তাকে বলা হয় ব্যাবসায়ি । একজন ব্যাবসায়ি তার ব্যাবসায়িক জীবনের সবচেয়ে কঠিন এবং গুরত্বপুরন সময় একজন উদ্যেক্তা হিসাবে কঠোর মনোবল , উদ্যাম প্রানশক্তি ও আত্ববিস্বাস কে সঙ্গী করে শত বাধা পেড়িয়ে একজন আত্বনিরভরশিল ব্যাবসায়ি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যান ।

আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে কাজে হাত দেন। একজন আত্মকর্মসংস্থানকারী ব্যক্তি তখনই একজন উদ্যোক্তায় পরিণত হবেন, যখন তিনি নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজের আরও কয়েকজনের কর্মসংস্থানের চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেন, ঝুঁকি আছে জেনেও এগিয়ে যান এবং একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলেন। সে ক্ষেত্রে সকল ব্যবসায় উদ্যোক্তাকে আত্মকর্মসংস্থানকারী বলা গেলেও সকল আত্মকর্মসংস্থানকারীকে ব্যবসায় উদ্যোক্তা বলা যায় না ।

দেশ-বিদেশের সকল ব্যবসায় উদ্যোক্তার জীবনী পাঠ করে দেখা যায় যে, তাদের বেশিরভাগি প্রথম জীবনে ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুরু করেছিলেন। দৃঢ় মনােবল, কঠোর অধ্যবসায় ও কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে ধীরে ধীরে তারা বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন ।

উদ্যোগ যে কোনাে বিষয়ের ব্যাপারেই হতে পারে কিন্তু লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়ােগ করাই হলাে ব্যবসায় উদ্যোগ । আর যে ব্যাক্তি এই ব্যাবসার উদ্যোগ গ্রহন করেন তিনিই উদ্যোক্তা ।


আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।

গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।


Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net