স্কুল ছুটির পর বিকেলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শিক্ষক তার কোচিং সেন্টারে ডেকে নেন। পরে কেউ না থানার সুযোগে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। এসময় ছাত্রীর চিৎকার করলে আশপাশের শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা ছুটে আসেন।
ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর চাটখিলে।
এই অভিযোগে নাজমুল নামের ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে তাকে আদালতে পাঠালে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা রুমি।
ভুক্তভোগীর ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় শিক্ষককে আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার নাজমুল হাসান সোমপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পাশাপাশি একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে বিদ্যালয় ছুটির পর ওই ছাত্রীকে শিক্ষক নাজমুল তার কোচিং সেন্টারে ডেকে নেন। পরে কেউ না থানার সুযোগে শ্লীলতাহানি করেন। এসময় ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ থানায় অভিযোগ করেও প্রভাবশালী একটি মহলের চাপে কোনো প্রতিকার পাচ্ছিলেন না। পরে মঙ্গলবার সকালে সোমপাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বিদ্যালয়ের গেটে তালা দেন এবং নাজমুলের কোচিং সেন্টারে ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকান্তর বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।