কেরানীগঞ্জে তাবলিগ জামাতের ‘জোড় ইজতেমায়’ লাখো মুসল্লির ঢল

::
প্রকাশ: ২ years ago

পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক: 
ঢাকার কেরানীগঞ্জে তাবলিগ জামাতের পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। এতে দেশ-বিদেশের তিন চিল্লাধারী (৪ মাস সময় লাগানো) সাথিরা অংশ নিয়েছেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের কিংস্টার হাউসিং আবাসন প্রকল্পের মাঠে মঙ্গলবার ফজরের পর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনেই দেশের ৬৪ জেলার সাথিদের উপস্থিতিতে বিশাল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

তাবলিগ জামাতের ৩ চিল্লার সাথি ও ১ চিল্লাধারী আলেমরা শুধু এই জোড়ে অংশ নিতে পারেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত ২১ দেশের ৭ শতাধিক বিদেশি মেহমান এই জোড় ইজতেমায় উপস্থিত হয়েছেন।

তাবলিগ জামাত সূত্রে জানা গেছে, ৫৬ বছর ধরে টঙ্গীর ময়দানে বিশ্ব ইজতেমার স্বাগতিক দেশ ও প্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এতে তাবলিগের পুরো বছরের সারাদেশের কাজের রিপোর্ট পেশ করা হয়। আবার আগামী এক বছরের জন্য কাজের পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়।

জোড় থেকে দেশে ও বিদেশে বিশ্ব ইজতেমার দাওয়াতের জন্য জামাত পাঠানো হয়। বিশ্ব ইজতেমার মতোই এ জোড় ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের বিশ্ব মারকাজ দিল্লির নিজামুদ্দিনের মুরুব্বিরা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন।

পাঁচ দিনব্যাপী এই জোড়ে উদ্বোধনী বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা জামশেদ। এর বাংলা অনুবাদ করেন কাকরাইল মসজিদের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। সকাল ১০টায় বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা আব্দুস সাত্তার। এ বয়ানের বাংলা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসেম।

জোহরের পর বয়ান করেন কাকরাইলের মুরুব্বি খান শাহাবুদ্দিন নাসিম। আসরের নামাজের পর থেকে বিভিন্ন জেলার তাবলিগের কাজের রিপোর্ট শোনা হয়।

কাকরাইল মসজিদের শীর্ষ মুরুব্বি ও তাবলিগ জামাতের শূরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম জানান, ৫ দিনব্যাপী এই জোড় তাবলিগ জামাতের একটি ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ জামায়েত। এর সফলতার ওপর টঙ্গীর ময়দানে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি ও আগামী এক বছরের কাজের অগ্রগতি নির্ভর করে।

জানা গেছে, ৫ দিনের এই জোড়ে ২১টি দেশের প্রায় ৭০০ বিদেশি মেহমান উপস্থিত হয়েছেন। আরও ৯০০ মেহমান উপস্থিত হবেন জানিয়েছেন আয়োজকরা।

তাবলীগ জামাতের মিডিয়া শাখার দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ সায়েম জানান, বাংলাদেশে ২ লাখের মতো তিন চিল্লার সাথি রয়েছেন। এদের মধ্যে লক্ষাধিক তিন চিল্লার সাথি এই জোড় ইজতেমায় উপস্থিত থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, টঙ্গী ময়দানে গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। যার প্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ জমায়েত সব সময় টঙ্গী ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু টঙ্গী ময়দানের অনেক সংস্কার কাজ বাকি থাকায় সরকারের পরামর্শে কেরানীগঞ্জের বামুনসুরে এই জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী শনিবার সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে জোড় ইজতেমা সমাপ্ত হবে।