রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রামাজান। এই মাসে যে কোন আমলের সওয়াব অন্য মাসের তুলনায় বহুগুণে বর্ধিত করে দেয়া হয়। তাই সকল মুসলমান এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি ও দান-সদকা করার প্রতি আগ্রহী হন। জাকাত দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও রমজান মাসই জাকাত আদায়ের সর্বোত্তম সময়।
ফলে বিত্তবানেরা দান-সদকা ও জাকাত-ফিতরা প্রদানে উৎসাহিত হন। রমজান মাসে দান-সদকা করলে অন্য সময়ের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি নেকি হয়। যদি কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য একটি নফল ইবাদত করেন, তবে তিনি মাহে রমজানে একটি ফরজ ইবাদতের সমান সওয়াব পাবেন। যিনি একটি ফরজ আদায় করবেন, তিনি অন্যান্য মাসের ৭০টি ফরজের সমান সওয়াব পাবেন। তাই রমজান মাসে রোজাদার মুমিন বান্দারা একসঙ্গে গরিবের হক জাকাত ও ফিতরা—এ দুটি আর্থিক ইবাদত করে থাকেন।
জাকাতের প্রয়োজনীয়তা:
মহাগ্রন্থ আল-কোরআন হচ্ছে মানব জাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, মানব জীবনের সকল প্রকার সমস্যার কাঙ্ক্ষিত সমাধান রয়েছে পবিত্র কোরআনে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইসলামের যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে তা অত্যন্ত উন্নয়নধর্মী, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত। দারিদ্র্য সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও অসহায় মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধান কল্পে ইসলামি শরিয়তে রয়েছ জাকাত, ফিতরা, উশর ও অন্যান্য সাদাকাতের ব্যবস্থা।
এই ব্যবস্থা দরিদ্র মানুষের প্রতি ধনিদের অনুকম্পা বা অনুগ্রহ নয় বরং এসব হচ্ছে বিত্তবানদের সম্পদে বিত্তহীনদের অধিকার। এই ব্যবস্থাপনায় রয়েছে সমাজে পারস্পরিক মমত্ববোধ সৃষ্টি ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধন প্রতিষ্ঠার এক উত্তম নমুনা। পবিত্র কোরআনে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে জাকাত প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোথাও আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই আবার কোথাও পরকালের সাথে, কখনো স্বতন্ত্রভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ পাক বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম কর, জাকাত প্রদান কর এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর। ’ (সূরা বাকারা, আয়াত-৪৩) অন্যত্র আল্লাহ পাক বলেন, ‘আর আমার অনুগ্রহ প্রতিটি বস্তুকে ঘিরে রেখেছে, যারা আল্লাহকে ভয় করে, জাকাত প্রদান করে এবং আমার আয়াতসমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে আমি এটাকে তাদের জন্য লিখে রাখব। ’ (সূরা আ’রাফ-১৫৬)
আধুনিক বিশ্বে এ যাবত যত অর্থনৈতিক মতবাদ গড়ে উঠেছে কোনোটাই বিশ্ববাসীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে নাই। বরং কেউ সম্পদ উপার্জনের ক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানাকে সম্পূর্ণরূপে খর্ব করে সমাজের মুষ্টিমেয় লোকের হাতে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখার পথ সুগম করে দিয়েছে।
পুঁজিবাদের সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থার কারণে সমাজের ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে এবং দরিদ্র শ্রেণির লোকেরা দিন দিন নিমজ্জিত হচ্ছে দারিদ্রতার অতল গহ্বরে। একমাত্র ইসলামি অর্থনীতিতেই রয়েছে দারিদ্র্য সমস্যার স্থায়ী সমাধান, অসহায়, বি ত মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির পথ। ইসলামি অর্থনীতির মেরুদন্ড হচ্ছে জাকাত। এখানে সুদকে হারাম ঘোষণা করে প্রত্যেক ধনবান ব্যক্তির উপর জাকাত ফরজ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে- ‘তাদের (বিত্তবানদের) সম্পদে প্রার্থী ও সর্বহারাদের নির্দিষ্ট অংশ রয়েছে। ’ (যারিয়াত-১৯)
আল কোরআনে জাকাত প্রসঙ্গ:
জাকাত শব্দটি পবিত্র কোরআনে আছে ৩২ বার, নামাজের সঙ্গে কোরআন মজিদে আছে ২৬ বার; স্বতন্ত্রভাবে কোরআনে আছে চারবার; পবিত্রতা অর্থে দুবার। এ ছাড়া জাকাত কখনো সদাকাত, কখনো ইনফাক শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইনফাক শব্দটি ব্যাপক, সদাকাত শব্দটি সাধারণ ও জাকাত শব্দটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কখনো কখনো এর ব্যতিক্রমও হয়েছে, অর্থাৎ এ তিনটি শব্দ একে অন্যের স্থলে ব্যবহৃত হয়েছে।
কোরআন মজিদে ১৯টি সুরায় জাকাতের আলোচনা এসেছে। যথা: (১) সুরা বাকারা (চারবার)। (২) সুরা নিসা (দুবার)। (৩) সুরা মায়িদা (দুবার)। (৪) সুরা তওবা (চারবার)। (৫) সুরা আরাফ। (৬) সুরা কাহাফ। (৭) সুরা মারইয়াম (তিনবার)। (৮) সুরা মুমিনুন। (৯) সুরা রুম। (১০) সুরা ফুচ্ছিলাত/হা-মীম সিজদাহ। (১১) সুরা আম্বিয়া। (১২) সুরা হজ (দুবার)। (১৩) সুরা নূর (দুবার)। (১৪) সুরা নমল, (১৫) সুরা লোকমান, (১৬) সুরা আহজাব, (১৭) সুরা মুজাদালাহ, (১৮) সুরা মুজাম্মিল ও (১৯) সুরা বাইয়িনাহ।
জাকাত মানে প্রবৃদ্ধি আর রমজানে প্রতি ইবাদতের সওয়াব আল্লাহ তায়ালা ৭০ গুণ বৃদ্ধি করে দেন। জাকাত প্রদান করতে গিয়ে আত্মপ্রচারণা ঠিক নয়। ব্যানার ঝুলিয়ে, সাইনবোর্ড লাগিয়ে, মাইকিং করে জাকাত প্রদান করা মোটেই সুন্নতসম্মত নয়। স্বল্পমূল্যের শাড়ি ও লুঙ্গি দ্বারা জাকাত দেওয়া তাকওয়ার প্রকাশ নয়। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা কখনো প্রকৃত কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা তা ব্যয় করবে যা তোমরা ভালোবাস। তোমরা যেকোনো বস্তুই ব্যয় করো, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সে বিষয়ে অবগত। ’ (আল কোরআন, পারা: ৪, সুরা-৩ আল ইমরান, আয়াত: ৯২)।
জাকাত প্রদান করা মুমিনের পরিচয়। ‘যারা (মুমিনগণ) এমন যে, যদি আমি তাদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করি, তারা (ক) নামাজ কায়েম করে, (খ) জাকাত প্রদান করে, (গ) সৎকাজের আদেশ করে ও (ঘ) মন্দ কাজে বাধা প্রদান করে। ’ (সুরা- হজ, আয়াত ৪১)।
জাকাতের সংজ্ঞা:
জাকাত ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে একটি। জাকাত আরবি শব্দ। এর মূল ধাতু হচ্ছে যাকয়ুন। এর চারটি অর্থ রয়েছে। যেমন- ১. পবিত্রতা ২.বৃদ্ধি পাওয়া ৩. প্রশংসা ৪. প্রাচুর্য। শরিয়তের পরিভাষায় জাকাত বলা হয়- সম্পদশালীদের উপর আল্লাহর নির্ধারিত সেই অংশ যা আদায় করা ওয়াজিব।
জাকাতের মাধ্যমে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, পবিত্র হয় এবং অন্য দিকে দারিদ্র্য সমস্যা দূর করে। দ্বিতীয় হিজরিতে জাকাত ফরজ হয় এবং নবম হিজরিতে জাকাত ইসলামি রাষ্ট্রের রাজস্বকর হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
যেসব সম্পদের উপর জাকাত ফরজ:
চার প্রকার সম্পদের উপর জাকাত ফরজ। যেমন- ১. স্বর্ণ-রূপা ও নগদ অর্থ, ২. বাণিজ্যিক পণ্য, ৩. মাঠে বিচরণকারী গবাদি পশু, ৪. জমিতে উৎপাদিত শস্য ও ফলমূল।
কী পরিমাণ সম্পদ এবং কাদের উপর জাকাত ফরজ:
প্রত্যেক ধনবান ব্যক্তি বা নেসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী ব্যক্তির উপর জাকাত ফরজ। সাড়ে সাত তোলা (৮৫ গ্রাম) সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা (৫৯৫ গ্রাম) রূপা অথবা তার সমমূল্যের সম্পদকে নেসাব বলা হয়।
এই পরিমাণ সম্পদ যখন কোন ব্যক্তির জীবন ধরনের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণাদির অতিরিক্ত হবে এবং পূর্ণ এক বছর সে ঐ সম্পদের মালিক থাকবে, তখন তার উপর জাকাত ফরজ হবে। স্বর্ণ-রূপা ও নগদ অর্থ ও ব্যবসায় নিয়োজিত পণ্যের বছরান্তে ৪০ ভাগের এক ভাগ বা শতকরা ২.৫% জাকাত বাবত আদায় করতে হবে।
সোনার নেসাব অনুযায়ী সোনার জাকাত এবং রূপার নেসাব অনুযায়ী রূপার জাকাত আদায় করতে হবে। নগদ টাকা এবং ব্যবসায় নিয়োজিত পণ্যের জাকাত রূপার নেসাবের হিসাবে আদায় করতে হবে। অর্থাৎ নগদ টাকা বা ব্যবসায় নিয়োজিত পণ্যের জাকাত আদায় করার সময় সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যকে পরিমাণ ধার্য করতে হবে।
গৃহপালিত পশুর জাকাত:
গৃহপালিত পশু ও নির্দিষ্ট সংখ্যায় পৌঁছলে জাকাত দিতে হয়। চরণভূমিতে বিচরণশীল ৩০টি গরু অথবা মহিষের জন্য ১ বছর বয়সের ১টি গরু অথবা মহিষের বাচ্চা জাকাত দিতে হবে। অনুরূপ ৪০ থেকে ১২০টি ছাগলের জন্য বছরে ১টি ছাগল জাকাত দিতে হবে।
৩০ টির কমে গরু অথবা মহিষে এবং ৪০টির কমে ছাগলে জাকাত নেই। তবে ব্যবসার উদ্দেশ্যে যদি ক্রয় করে রাখা হয় তাহলে ব্যবসায় পণ্য হিসাবে বিবেচিত হয়ে এগুলোর মূল্যের উপর জাকাত আসবে।
উশর তথা উৎপাদিত শস্য ও ফল মূলের জাকাত:
উশর তথা ফল ফসলের জাকাত আমাদের দেশে খুব কমই আদায় করা হয় এবং এর আলোচনা ও কম হয়। যার দরুন এ সম্পর্কে অনেকে জানেই না যে, উৎপাদিত ফসলেরও জাকাত আদায় করতে হয়।
উশর এর অর্থ হলো এক দশমাংশ। জমি থেকে উৎপন্ন সকল প্রকার শস্য, শাক-সবজি ও ফলের এক দশমাংশ জাকাত বাবত আদায় করাকে উশর বলে। সকল প্রকার শস্য, শাক-সবজি ও ফলের উপর জাকাত প্রযোজ্য। কারো কারো মতে কেবল গোলাজাত শস্য বা ফসল ছাড়া অন্য ফসলের উপর জাকাত নেই। জমির ফসল আহরণের সাথে সাথে উশর পরিশোধ করতে হয়। এক্ষেত্রে বৎসর অতিক্রান্ত হওয়া প্রয়োজন নেই। বৎসরে একাধিকবার ফসল আসলে একাধিক বার উশর আদায় করতে হবে।
শস্য ও ফলমূলের নেসাব:
যেসব জমিতে সেচ প্রয়োজন হয় না, অর্থাৎ ফসল উৎপাদনের জন্য পানি সি ন করতে হয় না বরং প্রাকৃতিকভাবে নদী বা বৃষ্টির পানি দ্বারাই ফসল ফলানো হয়, এরকম জমি থেকে আহরিত ফসলের দশ ভাগের একভাগ আর যে জমিতে সেচের প্রয়োজন হয়, অর্থাৎ পানি সি ন করে ফসল উৎপাদন করতে হয় এরকম জমি থেকে উৎপাদিত ফসলের বিশ ভাগের এক ভাগ জাকাত বাবত আদায় করতে হবে।
বিশ ভাগের এক ভাগকে বলা হয় নিসফে উশর। অবশ্য এ থেকে চাষ, কর্তন, মাড়াই ইত্যাদির খরচ বাদ যাবে। ফসলের নেসাবের পরিমাণ হলো ৫ ওয়াসাক। অর্থাৎ কেউ যদি ৫ ওয়াসাক তথা আনুমানিক ২৫ মন শস্য পায় তাহলে সে উশর বা নিসফে উশর আদায় করতে হবে। তবে ইমাম আযম আবু হানিফা (রহ.) এর মতে, ৫ ওয়াসক হওয়া জরুরি নয় বরং ফসল পৌনে দুই সেরের বেশি হলেই উশর আদায় করতে হবে। (দুররুল মুখতার, ২য় খণ্ড)
অত্যাবশ্যকীয় সম্পদ তথা যে সম্পদের উপর জাকাত নেই:
অত্যাবশ্যকীয় সম্পদ বা উপকরণ হলো- বসবাস, ব্যবহার ও উৎপাদনের কাজে বা ভাড়ায় নিয়োজিত ঘর, বাড়ি, দোকান কোঠা, স্থায়ী সম্পত্তি, দালান কোঠা, পেশাগত সামগ্রী, কারখানার যন্ত্রপাতি, যোগাযোগের বাহন ইত্যাদির উপর জাকাত আসে না। তবে এসব থেকে ভাড়া বাবত অর্জিত আয় অন্য জাকা যোগ্য সম্পদের সাথে যুক্ত করে ২.৫% হারে জাকাত আদায় করতে হবে।
ব্যবসার উদ্দেশ্যে ক্রয় করে রাখা জমি, দালান ও দোকান ঘর, অ্যাপার্টমেন্ট, গাড়ি, যন্ত্রপাতি ইত্যাদির মূল্যের উপর জাকাত ধার্য হবে। ঘরের আসবাব পত্র, তৈজসপত্র, খাদ্যদ্রব্য, পোশাক পরিচ্ছদ, নিজের ও নিজের উপর সরাসরি নির্ভরশীল আত্মীয় স্বজনদের দৈনন্দিন খরচের উপর জাকাত আসে না।
জাকাতের হকদার:
জাকাতের প্রকৃত পাওনাদার কারা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে জাকাতের অর্থ ব্যয় করতে হবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে- জাকাত হল কেবল ফকির, মিসকিন, জাকাত আদায়কারী ও যাদের চিত্তাকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্য এবং মুসাফিরদের জন্য।
এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (আত্তাওবা-৬১) মাওলানা আব্দর রহিম (র.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় জাকাতের অর্থ ব্যয় করার ১০টি খাতের উল্লেখ করেছেন। যেমন- ১. বেকারত্বের দূরীকরণ, ২. শ্রমজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, ৩. দুর্বল, অসহায় এবং পঙ্গু, অন্ধ অসহায় পথ শিশু এই শ্রেণির মানুষের সামাজিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
৪. জাকাত আদায় ও বন্টনকারীদের আর্থিক প্রয়োজন মেটানো, ৫. নওমুসলিমদের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, ৬. দাসপ্রথার অবসান, ৭. ঋণগ্রস্তদের ঋণ মুক্তির ব্যবস্থা করা, ৮. সুদমুক্ত ঋণ দানের ব্যবস্থা করা, ৯. ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা করা, ১০. নিঃস্ব পথিকের গন্তব্যে পৌঁছার ব্যবস্থা করা।
দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিকালে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি বিত্তবান মানুষের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। জাকাত আদায়ের মাধ্যমে সম্পদ কমে না বরং সম্পদ পবিত্র হয় এবং সম্পদে বরকত হয়। জাকাতের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি হয়, বৈষম্য দূরীভূত হয়।
সুতরাং দেশের চলমান করোনা সংকটের সময় যে বিশাল জনশক্তি অভাব-অনটন ও দুঃখময় পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন এ অবস্থায় জাকাত, উশর, ফিতরা আদায়সহ অসহায় মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রয়োজন ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে জাকাত আদায়ের ব্যবস্থা করা।