কারাগার থেকে যেভাবে ৪ ফাঁসির আসামি পালিয়ে যায়

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদির ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে। যদিও রাতের মধ্যে এক অভিযান পরিচালনা করে তাদের আবার ধরা হয়েছে।

ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যাওয়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই কারাগারের ৫০০ মিটার দূর থেকে তাদের ধরে পুলিশ।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের পালিয়ে যাওয়া এবং পুনরায় গ্রেপ্তার করে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে মঙ্গলবার রাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলখানার অদূরে বাজার থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

তিনি আরও বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি জানায় ৩টা ৫৬ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি এবং টহল দলকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁড়ির সব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পলাতক চার আসামিকে ধরে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে জেল কর্তৃপক্ষ আবার মামলা করবে। এরপর তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

এদিকে, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, জেলটি ব্রিটিশ আমলের। ছাদে কোনো রড ছিল না। কাপড় দিয়ে ওপরে উঠে তারা ছাদ ফুটো করে পালিয়েছে। ঘটনার পর আমি জেল পরিদর্শন করেছি এবং সামনে-পেছনে আরও ছয়টি নিরাপত্তা চৌকি বসাতে বলেছি।

আসামিদের আটক অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সব-ইন্সপেক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা সব জায়গায় খোঁজ নিতে শুরু করি। আমার মনে হয়, যেহেতু জেলখানা করতোয়া নদীর তীরে, সুতরাং তারা নদী ধরে পালানোর চেষ্টা করবে। সে কারণে শহরের চেলোপাড়া সেতুর পূর্ব পাশে অবস্থিত চাষি বাজার এলাকার দিকে চারজন কনস্টেবল নিয়ে যাই। গিয়ে দেখি চারজন নদীর পাড় থেকে ওপরে উঠছেন। পরে তাদের আটক করলে পুলিশের আরও টিম সেখানে আসে।

আটকদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার পর জেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া পলাতক আসামিদের ছবির দেখে তাদের শনাক্ত করা হয় বলে জানান তিনি।