পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
বরাবরের মতো এবারও ফুটবল বিশ্বকাপে রেফারিদের ঘড়ি তৈরি করেছে সুইজারল্যান্ডের হাবলট। সাধারণ ঘড়ির সঙ্গে এটাকে মেলালে চলবে না। রেফারি এবং ম্যাচ অফিশিয়ালদের সুবিধার জন্য এতে রয়েছে নানা ফিচার।
মাঠে কিক অফ হলেই ঘড়িটি অটোমেটিক ‘ম্যাচ মুড’ এ চলে আসে। এক-দুই করে সময় গুনতে শুরু করে সে। নির্ধারিত সময় শেষে ঘড়িটি অটোমেটিক এক্সটা টাইম গুনতে শুরু করে।
ম্যাচ চলাকালে মাঠের ভেতরের রেফারি ঘড়ির সাহায্যে সাইড লাইনের রেফারি এবং অন্য অফিশিয়ালদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। এই ঘড়িতে রয়েছে একটি চিপ। চিপের সাহায্যে যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদান চলে।
অফসাইড, গোললাইনসংক্রান্ত, খেলোয়াড় বদল, এক্সট্রা টাইম ইত্যাদি তথ্য মাঠের ভেতরের রেফারিকে জানানোর মাধ্যম এই ঘড়ি। তথ্য এলে ঘড়িটি কেঁপে ওঠে বা ভাইব্রেশন দেয়। তথ্য দেখে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন রেফারি।
গোল হলে ঘড়িতে অ্যানিমেশন দেখায়। উঠে আসে গোলদাতার নাম। একই ভাবে হলুদ কার্ড, লাল কার্ড কিংবা পেনাল্টি হলেও ঘড়িতে অ্যানিমেশন দেখায়।
সাধারণ মুডে ঘড়ির ডিসপ্লেতে বার, তারিখ এবং সময় প্রদর্শিত হয়। নিচের দিকে থাকে কাতার বিশ্বকাপের লোগো।
১.৩৯ ইঞ্চি বা ৩৫.৩ মিলিমিটারের ঘড়িটিতে আছে এএমওএলইডি টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে। ৩২৭ ডিপিআই রেজল্যুশনের ঘড়িটিতে আছে ৪০০ এমএএইচ ব্যাটারি। রিচার্জেবল ব্যাটারিটি দুই ঘণ্টায় ফুল চার্জ হয়।
ঘড়িতে সংরক্ষিত আছে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের পতাকাও। রেফারি চাইলে যেকোনো দেশের পতাকা মনিটরে তুলে এনে তথ্য নিতে পারেন।
এবার আসা যাক দামের প্রসঙ্গে। ঘড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হাবলট এই ঘড়ির দাম ধরেছে ৫ হাজার ৪৮০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় কিনতে গেলে খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকারও বেশি।
মোট এক হাজারটি ঘড়ি তৈরি করা হয়েছে এবারের বিশ্বকাপের জন্য। ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি এবং ২৪ জন ভিএআর রেফারি ব্যবহার করছেন এই ঘড়ি।
পাশাপাশি ভিভিআইপি অতিথিরাও এই ঘড়ি উপহার পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।