পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
কাতারে কোনো নদী নেই। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণও খুবই সামান্য। তাহলে খাবার ও কৃষিকাজসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য পানি কোথা থেকে আসে?
কাতারের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ পানি আসে সাগরের পানি থেকে। এর মধ্যে খাবার পানিও আছে।
আর বাকিটা ভূগর্ভস্থ পানি। এই পানি সাধারণত কৃষিকাজে ব্যবহার করা হয়।
সাগরের পানি পানের যোগ্য করতে রিভার্স অসমোসিস পদ্ধতি প্রয়োগ করে সেই পানিকে ডিস্যালিনেশন বা বিলবণীকরণ করা হয়, অর্থাৎ সাগরের পানি লবণমুক্ত করা হয়।
কাতার ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে এভাবে পানি লবণমুক্ত করা হয়। ইসরায়েলেও এই পদ্ধতি চালু আছে।
জাতিসংঘের হিসাবে বিশ্বে পানি লবণমুক্ত করার প্রায় ১৬ হাজার প্লান্ট আছে।
পানি লবণমুক্ত করতে অনেক জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হয়। কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১৯ সালে জানিয়েছিলেন, এক হাজার লিটার পানি লবণমুক্ত করতে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। যুক্তরাষ্ট্রে একটি রেফ্রিজারেটর চালাতে দিনে প্রায় চার কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।
এ ছাড়া আরো একটি সমস্যা আছে। পানি লবণমুক্ত করার পর যে বর্জ্য থাকে সেগুলো প্রায়ই সাগরে ফেলা হয়, যা সিউইড, কোরাল রিফ ও সিগ্রাসের জন্য ক্ষতিকর। তবে কিছু প্লান্ট এসব বর্জ্য ভূগর্ভে পুঁতে ফেলে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারে পানির চাহিদা ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে সেই দেশে যাওয়া প্রায় ১২ লাখ সমর্থক ও মাঠের ঘাস পরিচর্যা করতে এই পানি প্রয়োজন।
কাতার ও ফিফা অঙ্গীকার করেছে, বিশ্বকাপের আয়োজন জলবায়ুর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। আয়োজকরা জানিয়েছে, আট স্টেডিয়ামের টয়লেটে এবং স্টেডিয়াম ধুলামুক্ত রাখতে রিসাইকেল করা পানি ব্যবহার করা হবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে