কর্মজীবনে আমানতদারিতা এবং বিশ্বস্ততা

::
প্রকাশ: ২ years ago

রায়হান মাহমুদ:
কর্তব্যপরায়ণতা একটি আমানত। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, যেকোনো ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টির সেরারূপে সৃষ্টি করে প্রত্যেকের ওপর কোনো না কোনো দায়-দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। কর্মময় জীবনে নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করাটা ইবাদাত হিসেবে পরিগণিত।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কর্তব্যপরায়ণতার ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘…তোমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকেরই রক্ষক এবং তোমাদের সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।’ (সহীহ বুখারী-ইসলামিক ফাউন্ডেশন-৬৬৫৩)

সুরা কাছাছ এর ২৬ নং আয়াতে একজন ভালো কর্মজীবীর গুন হিসেবে বিশ্বস্ততার বিষয়ে বলা হয়েছে।

ধরুন, আপনি একটা কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। আপনার প্রতি অবশ্যই একটা দায়িক্ত অর্পিত আছে সেখানে, সেক্ষেত্রে আপনি ওই কাজের রক্ষক।

আপনি যদি নিজের ইচ্ছাবশত আপনার অর্পিত কাজে ফাঁকি দেন, তার অর্থ আপনি কোম্পানির প্রতি আপনার বিশ্বস্ততার প্রতি অবহেলা করলেন, এবং নামান্তরে আপনি মূলত আমানতের খেয়ানত করে আপনার নিজেরই ক্ষতি করলেন।

একদিকে আপনি যেমন ইহকালিন জীবনে আপনার ক্যারিয়ার এর ক্ষতি করছেন অপরদিকে আপনি এই ব্যাপারে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবেন পরকালে।

এজন্যই বোধহয় কবি ইকবাল বলেছেন, ‘কর্মেই গড়ে মানুষের জীবনসত্তা কর্মেই বণ্টিত হয়—জান্নাত-জাহান্নামের ফায়সালা।’

আপনার সামান্য দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা বা ফাঁকির কারণে হয়ত আপনার কোম্পানি বড় রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। কর্তব্যে অবহেলা, অমনোযোগিতা প্রভৃতি নানা ধরনের বিপদ, ব্যর্থতা ও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, আপনার এই অসতর্কতার কারণে, আপনার কোম্পানি সহ আপনার সহকর্মীরা এটার কুফল ভোগ করবে?

তাই একজন সৎ এবং বিশ্বস্ত কর্মীর উচিত সর্বদা কোম্পানির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব থাকা এবং অর্পিত দায়িত্ব সঠিক এবং বিশ্বস্ততার সাথে পালন করা।

তাই আসুন, প্রত্যেকে দায়িক্তের ব্যাপারে সচেতন হই। ইনশাআল্লাহ এটি আপনার সফল ক্যারিয়ার এবং আখেরাতের কল্যাণ বয়ে আনবে।


Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।

মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। আপনিও লিখুন।                         ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net