বাংলাদেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পীদের অন্যতম মমতাজ। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের আনুকুল্য পেয়েছিলেন। বেশ কিছু গানও গেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের জয়গান নিয়ে। সেই সূত্রেই হাসিনার ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি।
সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে হাসিনা তাকে প্রার্থীও করেছিল। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হন মমতাজ। পরে সংরক্ষিত নারী আসন-১৫ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে তাকে সংসদে জায়গা দেন হাসিনা।
শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মীই দেশ ছেড়ে আগে পরে পালিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ধরা খেয়েছেন দেশত্যাগের সময়।
মমতাজ দেশে আছেন নাকি পালিয়েছেন এ নিয়ে রয়েছে গুঞ্জন। কারণ তার সেলফোন বন্ধ। তার বাড়িতেও তিনি নেই। তার কাছেরজনরা কেউই তার কথা বলতে পারছেন না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেছেন, দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি মমতাজ। আত্মগোপনে রয়েছেন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোনো শহরে রয়েছেন।
মমতাজের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ ও পদবাণিজ্য, এমপির বিশেষ বরাদ্দসহ টিআর কাবিখা, কাবিটা নামে-বেনামে লোপাট, বিতর্কিত ব্যক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মমতাজের বিরুদ্ধে স্বামী ডা. মঈন হাসানের ওপর নিজের দলবল দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগও রয়েছে। মমতাজের বিরুদ্ধে অবিচারের অভিযোগ এনেছেন তার সৎ মা এবং তার তিন কন্যাও।