কখনো, কোথাও বলিনি ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না: তামিম

:: স্পোর্টস ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১ বছর আগে

তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে না নেওয়া নিয়ে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক। গুঞ্জনেরও শেষ নেই। সবার ভুল ভাঙতে বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তামিম। ১২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে নানা কথা বলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার।

ভিডিওর শুরুতে তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় সঠিক জিনিসটা সবার জানা উচিত। আপানার জানেন আমি পদত্যাগ করি। এটারও একটা কারণ ছিল। তারপর আমি প্রধানমন্ত্রীর কারণে ফিরে আসি। এরপর গত দুই মাস আমি অনেক কষ্ট করি। এই সময়টাতে আমি নিজেকে ফিট করার জন্য এমন কোনও কষ্ট নেই যা করিনি।’

গুঞ্জন আছে তামিম বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না, এমন শর্ত দেওয়ায় তাকে দলে রাখা হয়নি। তবে তামিম ভিডিও বার্তায় এমন কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলছে, আমি নাকি বলেছি ৫ ম্যাচের বেশি খেলবো না। এটা মিথ্যা। আমি কখনো, কোথাও বলিনি ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না।’

ভিডিও বার্তায় তামিম বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মানসিকভাবে আমি খুব খুশি ছিলাম। গত চার-পাঁচ ম্যাচের যত বিষয় সব ভুলে গিয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমার ইনজুরির অবস্থা ফিজিওকে জানাই।’

তামিম বলেন, ‘তখন ড্রেসিংরুমে নির্বাচকরা আসেন। আমি তাদের বলেছিলাম, আমার অবস্থা সামনে এমনই থাকবে। আমাকে দলে রাখলে বিষয়টি মাথায় রাখবেন। হোটেলে যাওয়ার পর আমাকে ফিজিও পর্যবেক্ষণ করেন।’

ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল তা পরিষ্কার করে তামিম বলেছেন, ‘ফিজিও’র রিপোর্টে ছিল প্রথম ম্যাচের পরে আমার ব্যথার অবস্থা কী, দ্বিতীয় ম্যাচের পর কী হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২৬ তারিখের (নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচ) ম্যাচের দিন অবস্থা কেমন হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, খেলার জন্য আমি প্রস্তুত। তবে আমাকে বলা হয়েছিল আমি রেস্ট নিতেও পারি।’

রেস্ট নিলে ফিটনেসের অবস্থা ভালো থাকতো বলেও উল্লেখ করেছেন তামিম, ‘শেষ ম্যাচটায় রেস্ট নিলে সেক্ষেত্রে আমার প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য রিহ্যাভ হয়ে যেত এবং বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচও আমি খেলতে পারবো এমনটা ছিল রিপোর্টে। আমি কোথাও বলিনি যে, পাঁচটা ম্যাচ খেলবো বা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারবো।’

এর আগে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তামিম লেখেন, ‌‘আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলবো। গত কয়েক দিন অনেক কথাই গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত – সমর্থক সবারই পরিষ্কার ভাবে সব কিছু জানার অধিকার রাখে।’