চতুর্থ ওয়াশিংটন ডিসি বইমেলা আগামী শনিবার শুরু হবে। ইতোমধ্যে মেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দুই দিনের এই বইমেলা হবে ভার্জিনিয়ার স্টারলিং শহরের ওয়াশিংটন হলিডে ইন হোটেলে।
বইমেলার প্রধান সমন্বয়ক ড. নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল ১০টায় একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতা মামুনুর রশিদ প্রধান অতিথি হিসাবে মেলার উদ্বোধন করবেন।
মেলায় ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল), কালের চিঠি প্রকাশন, নালন্দা, খড়িমাটি, পুঁথিনিলয়, স্বদেশ, শৈলী, বলাকা, সর্বজন কথা, অম্বয়, অ্যাডর্ন পাবলিকেশনসহ ১৪টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেবে। পুস্তক প্রদর্শনী ছাড়াও এবারের বইমেলায় থাকছে লোকজ অনুষ্ঠান, ছোটদের পরিবেশনা ও চিত্রাঙ্কন আসর, ছড়া-কবিতা আবৃত্তি, গান, গানের ছোঁয়ায় কবিতা, নৃত্য, বই পরিচিতি, নাটক, কর্মশালা ইত্যাদি।
শনিবার প্রথম দিনের কর্মশালায় বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সুদিন-দুর্দিন, সাহিত্যের ভাষা, শিল্প সাহিত্য বিকাশে ডিসি বইমেলা, অনুবাদ ও ভাষা, বিজ্ঞানময় জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত, সবার জন্য সফট স্কিলস, ঢাকার জনসংখ্যার বোঝাকে সম্পদে পরিণত করা- ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। রোববার দ্বিতীয় দিনের কর্মশালায় পটচিত্র পারফরমেন্স, আধুনিকতার আলোর ছায়ায় কি বিলুপ্ত হবে ছাপা বইয়ের ব্যবহার, মনিপুরি নাচ, উত্তর আমেরিকার বাংলা পত্রিকা ও বেতারের ইতিকথা বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া তথ্যচিত্র উপস্থাপনা ও নাট্যকার মামুনুর রশিদের থিয়েটার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
বইমেলার আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মেলার আহ্বায়ক দোস্তগীর জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য বাঙালিদের সঙ্গে বাংলা বই ও সাহিত্যের যোগাযোগ বজায় রাখা। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে বাংলা বই ও সাহিত্যের যোগসূত্র সৃষ্টি করা।’
মেলা সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রায় প্রতি সপ্তাহে গান-বাজনার হরেক মোড়কে বিনোদনের কমতি নেই। কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃজনশীল সাহিত্য-সংস্কৃতি সেবার খরা চলছে। খরা দূর করতে ছোটদের-বড়দের রঙিন মোড়কের বই নিয়ে বসবে এবারের বইমেলার আসর।
বইমেলা হবে লেখক, প্রকাশক, সাহিত্যসেবী ও সংস্কৃতিকর্মীদের মিলনমেলা। হালকা জৌলুসের বিনোদন বা আড্ডার জন্য নয়, বরং বই নিয়ে আলোচনা শুনতে, নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে আর গল্প-কবিতা ও সাহিত্যের বই কেন্দ্র করে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশকে উদ্দীপ্ত করতে বইমেলায় আসার জন্য সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আয়োজকরা।