এসএসসি পরীক্ষায় বড় পরিবর্তন

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন কাঠামোর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে হবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এছাড়া নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরীক্ষায় লিখিততে থাকবে ৬৫ শতাংশ নম্বর। বাকি ৩৫ শতাংশ থাকবে কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে।

চূড়ান্ত হওয়া মূল্যায়ন পদ্ধতিতে এসএসসিতে কেউ সর্বোচ্চ দুই বিষয়ে ফেল করলেও এইচএসসিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। তবে পরবর্তীতে ওই দুই পরীক্ষায় পাস না করলে সনদ পাবে না। এছাড়া আগের মতো জিপিএর ভিত্তিতে ফল প্রকাশ হবে না।

গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনসিসিসির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভা সূত্রে জানা গেছে, এনসিটিবির উপস্থাপিত পাবলিক পরীক্ষা মূল্যায়ন কাঠামোতে নতুন করে বড় কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। শুধুমাত্র সাত স্কেলকে আরও সহজে বোঝার জন্য ইংরেজি বর্ণ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর মাধ্যমিক স্তরের মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত করার আগে ষান্মাষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলাফল দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, বিষয়ের চাহিদা ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রকল্পভিত্তিক কাজ, সমস্যা সমাধান, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদির পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। এনসিটিবি প্রস্তাবিত লিখিত মূল্যায়নে ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে ৩৫ শতাংশ ওয়েটেজ রাখা, প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা রাখা ইত্যাদি বিষয়ে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। এখানে কার্যক্রম বলতে বোঝানো হচ্ছে, অ্যাসাইনমেন্ট করা, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান করা, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি।

মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার প্রস্তাবনায় একেকটি বিষয়ে পাঁচ ঘণ্টায় পরীক্ষা নেওয়ার কথা আলোচনা হয়েছিল। তবে এনসিসিসির সভায় এ বিষয়ে আরও নমনীয় হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ে সর্বোচ্চ এক স্কুল দিবসে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

নতুন নিয়মে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে এসএসসি পরীক্ষা। বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে দশম শ্রেণিতে নির্বাচনি পরীক্ষায় (টেস্ট) উত্তীর্ণ হতে হয় পরীক্ষার্থীদের। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী যদি দশম শ্রেণিতে ৭০ শতাংশ কর্মদিবস উপস্থিত না থাকে, তাহলে সে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।

এর আগে, নতুন শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।

নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মশিউজ্জামান বলেন, আমরা এনসিটিবি থেকে যে প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম, সেটিই চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে কিছু বিষয় পরিবর্তনের জন্য বলা হয়েছে।