প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধনের পর রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে চালু করা হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। দুই-তিন চাকা বাদে সব ধরনের যান চলাচল করবে এ সড়কে।
এতে ঢাকার যানজট কমবে।
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সরকার প্রধান এ মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। পরে কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় নির্ধারিত ফি দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েওত গাড়িবহর নিয়ে ওঠেনি তিনি। সেখান থেকে আসেন ফার্মগেটের সমাবেশস্থলে।
নতুন এ সড়কে কোন কোন পথ দিয়ে যাতায়াত করা যাবে সেটি জানা গেছে। যেমন- গাজীপুর ও আশুলিয়া থেকে ফার্মগেট আসতে হলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে উঠতে হবে। রয়েছে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল থেকে সরাসরি কাওলা র্যাম্পে ওঠার সুযোগ। বিপরীত দিক অর্থাৎ ফার্মগেট, বনানী থেকে এসে বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে নামা যাবে।
ফার্মগেট, মহাখালী ও বনানী থেকে কুড়িল বিশ্বরোডে নামার জন্যে দুটি র্যাম্প আছে। একটি পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে যাবে আরেকটি লেন দিয়ে বাড্ডা অভিমুখী প্রগতি সরণিতে যাবে। এরপর বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে নেমে গুলশান ও বনানী যাওয়া যাবে। আর উল্টোদিকে বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর সামনে বিমানবন্দর সড়কে নামা যাবে।
বিজয় সরণি হয়ে র্যাংগস ভবন ভেঙে যে ওভারপাসটি করা হয়েছে সেটিতে উঠেও উড়ালসড়কে যাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে তেজগাঁওয়ে যাওয়ার আগেই উড়ালসড়কে উঠতে হবে যানবাহনকে। তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতেও ওভারপাসে আরেকটি সংযোগ রয়েছে, সেটি ওঠার জন্য। রাজধানীর দক্ষিণ, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের মানুষের জন্য উড়ালসড়কে ওঠার এ পথটিই সহজ। তবে যারা বনানী যেতে পারবেন, তারা বনানী রেলস্টেশনের সামনে দিয়ে উড়ালসড়কে উঠতে পারবেন।
উত্তর দিক থেকে এসে নামার জন্য অর্থাৎ মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেটগামী যানবাহনের জন্য ইন্দিরা রোডে নামা সুবিধাজনক।
ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড অথবা শাহবাগ, সেগুনবাগিচা ও পুরান ঢাকা থেকে এসে উড়ালসড়কে উঠতে হলে বিজয় সরণি ওভারপাস অথবা তেজগাঁও এলাকায় হয়ে উঠতে হবে।