সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী চেতনা ও আপসহীনতার প্রকাশ পায় তার ছেলেবেলা থেকে। তিনি ছেলেবেলার খোকা থেকে শেখ মুজিব, তা থেকে শেখ সাহেব এবং ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা ও পরবর্তীতে বিশ্বনেতা। সেই মানুষটির ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস নানা আয়োজনে পালন করেছে এম এইচ শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ।
এ উপলক্ষে শনিবার (১৮ মার্চ) শমরিতা হাসপাতালের ১ নং গ্যালারিতে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের অধিবাসী এবং জাতি হিসেবে মেধা ও মননে পরিপূর্ণরুপে বিকশিত হতে পারছি। তার নেতৃত্বে এই জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সে কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। আজকের এই দিনে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
তারা বলেন, বাঙালি জাতি বহু আগে থেকে নির্যাতিত-নিপীড়িত। এই জাতির মুক্তির আকাঙ্খা দীর্ঘদিনের কিন্তু মুক্তি জাগানোর মতো কোনো মানুষ ছিল না। অনেক বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা মুক্তির জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বাঙালি জাতির সেই মুক্তির স্বপ্ন একসময় বিলীন হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সেই বিলীন হয়ে যাওয়া স্বপ্ন বাঙালি জাতিকে আবার নতুন করে দেখালেন টুঙ্গিপাড়ার নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহণ করা শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শুধু স্বপ্নই দেখাননি, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর আমাদের স্বাধীনতাও এনে দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে বলেও প্রত্যাশা রাখেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম এইচ শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ফাউন্ডার কো-চেয়ারম্যান গোলাম ফাতেমা তাহেরা খানম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ইতিহাসের মহানায়ক হওয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ সব কালে, সব যুগে সৃষ্টি হয় না। যুগ-যুগান্তরের পরিক্রমায় হাতেগোনা এক-আধজনই শুধু ইতিহাসের মহানায়ক হয়ে উঠতে পারেন। ইতিহাস তার আপন তাগিদেই ‘মহানায়কের’ উদ্ভব ঘটায়, আর সেই মহানায়কই হয়ে ওঠেন ইতিহাস রচনার প্রধান কারিগর ও স্থপতি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন তেমনই একজন কালজয়ী মহাপুরুষ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, পৃথিবীর ইতিহাস যত দিন থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একইভাবে প্রজ্জ্বলিত হবেন প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে, প্রতিটি মুক্তিকামী, শান্তিকামী, মানবতাবাদীর হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন চিরকাল বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে- পথ দেখাবে। বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসায় বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণের কালজয়ী এ মহাপুরুষকে চিরকাল স্মরণ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক (যোগাযোগ) আরিক ইসলাম এবং পরিচালক (হাসপাতাল অপারেশন) অধ্যাপক ডা. এস এম মামুন ইকবাল। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ডা. দিলিপ কুমার ধর এবং অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল জলিল আনসারি। এম এইচ শমরিতা হাসপাতালের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য শেষে অতিথিরা কেক কাটেন ও সবার মাঝে বিতরন করেন।
পরবর্তীতে ছাত্র-ছাত্রীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
শিশু দিবস উপলক্ষ্যে হাসপাতালের শিশু বহির্বিভাগে কিছু বিশেষ স্বাস্থ্য সুবিধা ও সুলভ মূল্যে টেষ্টের ব্যবস্থা করা হয়।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net