তীব্র তাপদাহে পুড়ছে পুরো দেশ। এর মধ্যেই হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ। এ নিয়ে নানা রকম দুশ্চিন্তার কথাও শোনা গেছে। এবার এ নিয়ে কথা বলেছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খেলা দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সুপার লিগের দুটি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি। এর মধ্যে একটি ম্যাচে সেঞ্চুরিও করেছেন। প্রিমিয়ার লিগে এটিই তার প্রথম সেঞ্চুরি। বাকি ক্রিকেটারদের কষ্ট দুই ম্যাচ খেলেই বুঝেছেন সাকিব। এমন সময়ে সুপার লিগ আয়োজনকে অমানবিক বলছেন তিনি।
এর মধ্যে সাকিব আল হাসান নতুন এক প্রস্তাব নিয়েও হাজির হয়েছেন সাকিব। তার মতে, প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ ওয়ানডের বদলে হওয়া দরকার ছিল টি-টোয়েন্টিতে। এতে বিপিএলের বাইরে আরেকটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট খেলায় উপকৃত হতেন ক্রিকেটাররাও।
শনিবার সতীর্থ রুবেল হোসেনের বাইকের শো-রুম উদ্বোধনে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘রোদে একটু পুড়ে গেছি, আমেরিকা গিয়ে একটু ফর্সা হয়েছিলাম তো এসেই ৪৩-৪৪ ডিগ্রিতে খেলতে গিয়ে একটু পুড়ে গেছি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে সুপার লিগটা যদি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতো এটা আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হতো। একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের দিকটাও যদি কেউ চিন্তা করতো তাহলে মনে হয় খুবই ভালো হতো।’
‘আমার মনে হয় খুবই অমানবিক এরকম একটা পরিবেশে সারাটা দিন রোদের ভেতরে আমাদের খেলানো। এই জায়গাটাতে অনেক ভালো একটা দায়িত্ব নেওয়া যেতো। একই সঙ্গে আমাদের জাতীয় দলের জন্যও উপকৃত হতো যেহেতু আমরা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। আমার মনে হয় প্রস্তুতিটা খুব ভালো হতো, অল্প দিনে শেষ হয়ে যেতো সব খেলোয়াড়রা খেলতে পারতো। যে কোন কারণেই হোক করেনি। এই চিন্তাগুলো হয়তো আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা একমাত্র টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলেন বিপিএল। ওখানেও বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই থাকে বেশি। প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হলে তারা নতুন করে টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেতেন। সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, বিপিএলের সময় বিপিএল হবে। আমরা সারাবছর ওয়ানডে সংস্করণটাই খেলি। ওয়ানডে সংস্করণ এই একটা সংস্করণে আমরা জন্মের পর থেকেই কমফোর্ট ফিল করি। সুতরাং আপনি একটার সাথে আরেকটা মেলালে হবে না আপনার জিনিসটা বিবেচনা করতে হবে। যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে আমাদের ওরকম কোন খেলাই হয় না একমাত্র বিপিএল ছাড়া। যেখানে বিদেশি ক্রিকেটারদের দাপটটা অনেক বেশি থাকে।’
‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটারদের সুযোগ একটু কম হয়। টপ অর্ডারে দেখা যাচ্ছে কোন দলের ব্যাটাররা বিদেশি, কোন দলের প্রধান বোলাররা বিদেশি। তো স্বাভাবিকভাবে ওই জায়গাটাতে আমরা ওইভাবে পারফর্ম করার সুযোগ অনেক সময় পেয়ে উঠি না। খুব কম খেলোয়াড়দেরই এই সুযোগটা থাকে। কিন্তু যদি এখানে হতো ছয়টা দলের ১৫ জন করে ক্রিকেটার ধরেন ৯০ জন। এই ৯০ জন ক্রিকেটারের প্রতিযোগিতামূলক খেলার সুযোগ হতো। আমার কাছে মনে হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক ছিল।’
নিজে কোনোদিন দায়িত্ব নিলে এসব বাস্তবায়ন হবে জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি ছিলাম আমেরিকাতে এখানে যারা সিদ্ধান্ত প্রণেতা তারা নেবে সিদ্ধান্ত। আমি যেদিন হবো সেদিন নেব এরকম সিদ্ধান্ত।’