বিলাল হোসেন মাহিনী:
ছাত্ররা দেশপ্রেমিক হবে, যে কোনো অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, আমাদের দেশের ছাত্র সংগঠনগুলো (প্রায় সব) সব অন্যায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে না। কেবল যেগুলো নিজ দল ও মতের সাথে সংশ্লিষ্ট, সেসব বিষয়ে সোচ্চার হয়।
ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো। এরপর ঐ অর্থে আর কখনো অভিভাবক দলের বাইরে গিয়ে কোনো ছাড়া সংগঠন দেশ ও সাধারণ মানুষের বিশেষত সাধারণ ছাত্র জনতার জন্য লাড়াই করতে পারেনি।
দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করে দেশের যে কোনো অন্যায় অবিচার জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজপথে দাঁড়িয়ে যাবে এমন একটা ছাত্র যুব সংগঠন কবে গড়ে উঠবে দেশে?
শুধু দলীয় কেউ গ্রেফতার বা নির্যাতনের শিকার হলেই নয়, বরং দল মত জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যেখানে যে বা যারা আক্রান্ত হবে তার বা তাদের জন্য প্রতিবাদ করবে, বিবৃতি দিবে।
এমন একটা ছাত্র সংগঠন কবে দেখবে বাংলাদেশ??
আমাদের দেশে ছাত্র সংগঠনগুলো নিজ অভিভাবক দলের বা অঙ্গ সংগঠনের কেউ আক্রান্ত হলে মিছিল করে, প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে, প্রেস ব্রিফিং করে, ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু অন্য দল-মতের কেউ আক্রান্ত হলে একটা প্রতিবাদ বিবৃতিও দেয় না। এমন কেনো??
কিছুদিন আগে প্রকৌশলী ম ইনামুল হক রাজধানীতে হেনস্তা হলেন! বাহ কেমন রাজনীতি আমাদের! কোনো ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদ বা বিবৃতি দিল না।
অভিভাবক দলের নিঃশর্ত আনুগত্যের উর্ধ্বে উঠে এবং দলীয় সংকীর্ণতা পরিহার করে সাধারণ ছাত্র জনতার অধিকার আদায়ে ছাত্র সংগঠনগুলো আদর্শিক ও ব্যতিক্রম ধারায় ফিরে আসুক, এই প্রত্যাশায়…।
আমাদের দেশে আসবে সেই ছাত্র রাজনীতি কবে!
নিজ দলের দালালি নয়, তারা সব মানুষের হবে।