পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত তিন বছর হজযাত্রীর সংখ্যা সীমিত রেখেছিল সৌদি সরকার। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটি।
সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ-এর বরাত দিয়ে দুবাইভিত্তিক গণমাধ্যম খালিজ টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে ।
দেশটির রাজধানী রিয়াদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ বলেন, হজযাত্রীর সংখ্যা করোনা মহামারির আগের সময়ের মতো করা হবে। এতে কোনো বয়সসীমা থাকবে না।
সক্ষম মুসলিমদের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পাঁচটি ফরজের মধ্যে হজ একটি। আগামী জুন মাসে হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
২০১৯ সালে ২৫ লাখ যাত্রী হজে অংশ নেন। পরের দুই বছর মহামারির কারণে হজযাত্রীর সংখ্যা কমানো হয়। ২০২২ সালে প্রায় ৯ লাখ হজযাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৮০ হাজার ছিলেন সৌদি আরবের বাইরের দেশের।
সে সময় হজযাত্রীদের বয়সসীমা ৬৫ বছরের নিচে সীমিত করে দেওয়া হয়। করোনার টিকা নেওয়া ও করোনা নেগেটিভ সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়।
বাংলাদেশের হজ চুক্তি সই
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক হজ পালন করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন। হজ টিমের (প্রশাসনিক ও মেডিক্যাল) সদস্য হিসেবে সৌদি আরবে যেতে পারবেন ১ হাজার ২৭০ জন।
হজ করতে পারবেন ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরাও।
এবার রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই হবে। হজযাত্রীদের অবশ্যই করোনার টিকা নিতে হবে। ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি জেদ্দা হয়ে এবং ৩০ শতাংশ মদিনা হয়ে মক্কায় আসা-যাওয়া করবেন।
বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম ই-হজ ব্যবস্থাপনার আওতায় অনলাইনে হবে।
বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং সৌদি আরবের পক্ষে দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ হজ চুক্তিতে সই করেছেন।