এবার প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়াচ্ছে গায়ক তাহসানের নাম

:: আনন্দধারা প্রতিবেদক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে এবার উঠে এলো জনপ্রিয় অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খানের নাম। প্রশ্নফাঁস চক্রে যিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত সেই সৈয়দ আবেদ আলী এক সময় ছিলেন তাহসানের মা সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অষ্টম চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের গাড়িচালক। এর ফলে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন অনেকে।

অভিযোগ উঠেছে, তাহসানের মা পিএসসি চেয়ারম্যান থাকাকালে ২৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হন তাহসান খান।

পরে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সেই ফল বাতিল করে আবারও ভাইভা অনুষ্ঠিত হলে সেই ভাইভা থেকে বাদ পড়েন তাহসান। আর এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তা। সমালোচনা শুরু হয় তাহসানকে নিয়ে।
এদিকে বিষয়টি নেটিজেনদের আরও নজরে আসে পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের এক বক্তব্যে। তিনি জানান, ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ও এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী যখন পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন আবেদ পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক ছিল। এরপর ইকরাম আহমদ যখন চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন সে বরখাস্ত হয়। পরে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হয়।

জানা গেছে, প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম যখন পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন (২০০২ সালের ৯ মে-২০০৭ সালের ৭ মে পর্যন্ত), ততদিনে সৈয়দ আবেদ আলী প্রমোশন লাভ করে পিএসসির চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক হন। সে সময় থেকেই মূলত সৈয়দ আবেদ আলী প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িয়ে পড়েন। এরপর দীর্ঘসময় ধরে তিনি একটি চক্রের সঙ্গে প্রশ্নফাঁস করে আসছিলেন। তবে, ওই সময়ে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিলেন। নন-ক্যাডারের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পিএসসির চাকরি থেকে ২০১৪ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাহসান খান ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হননি। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া এক তথ্য। ২৪তম বিসিএসের সরকারি প্রজ্ঞাপন থেকে দেখা গেছে, পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন কাজী এহসানুল হক। এমনকি নিয়োগপ্রাপ্ত ১৫ জনের তালিকাতেই ছিল না তাহসানের নাম।

২৪তম বিসিএস পরীক্ষার প্রথম প্রিলিমিনারি বাতিল ঘোষণা করা হয় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে। ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়। ফলে পরীক্ষা ও ভাইভা ছাড়া ওই বিসিএসে তাহসানের পররাষ্ট্র ক্যাডার হওয়া কিংবা পুনরায় ওই বিসিএসের ভাইভায় বাদ পড়ার সুযোগ নেই।

No description available.

এদিকে, এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হলেও এখনো তাহসানের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এক ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছেন সংবাদকর্মী ইমতিয়াজ আলম। পাঠকদের সুবিধার্থে তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো…

news24bd.tv/SHS