২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। গতবারের (২০২৩-২৪) তুলনায় এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বেড়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা বা ৪.৬২ শতাংশ। তবে এবারের বাজেটেও এক বছরের জন্য কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী জুলাই থেকে নগদ টাকা ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে এক বছরের জন্য কালো টাকা সাদা করা যাবে। সেই সঙ্গে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট কিংবা জমি কিনেও নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে একেক এলাকার জন্য করহার সংশ্লিষ্ট এলাকার বর্গমিটার অনুসারে নির্ধারিত হবে।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ শতাংশ কর পরিশোধের শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। তবে সে সময় তেমন সাড়া না পাওয়ায় পরবর্তীতে সেই সুযোগ বাতিল করা হয়। এরপর ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেয়া হয়, তবে কেউ সে সুযোগ নেয়নি। সবশেষ গত অর্থবছরে বিরতির পর আগামী জুলাই থেকে এক বছরের জন্য ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবারের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এই হিসাবে গতবারের তুলনায় এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বেড়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা বা ৪.৬২ শতাংশ।
অন্যদিকে, বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।